দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান। এবার লালবাগ সদর ঘাট থেকে অতি শীঘ্রই চালু হচ্ছে লঞ্চ পরিষেবা। কারণ, নৌকা করে গাড়ি পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছেন অতীতে অনেকেই। এর মধ্যে রয়েছেন পর্যটকেরাও। তবে এই লঞ্চ পরিষেবা চালু হলে যাতায়াতেরও সুবিধা হবে বলে জানান নিত্যযাত্রীরা। সুবিধা হবে পর্যটকদেরও।
সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই লালবাগ সদরঘাটে এই লঞ্চ পরিষেবা চালু হতে চলেছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে ঝাড়খণ্ডের একটি সংস্থাকে ঘাট পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়েছে। লঞ্চ পরিষেবা চালু হলে দেড় বছর ধরে দুই পাড়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে থাকা যানবাহন পারাপার আবার শুরু হবে। স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে খুশি মুর্শিদাবাদবাসী।
এখানে একটা কথা বলতেই হয়।মুর্শিদাবাদ জেলা মূলত পর্যটনের উপর নির্ভর। মুর্শিদাবাদ শহরে হাজারদুয়ারি ছাড়াও আছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান। ঠিক তেমনই গঙ্গার ওপারে আছে খোসবাগ। লালবাগের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ভাগীরথী। ভাগীরথীর পূর্বপাড়ে রয়েছে পর্যটন শহর লালবাগ। এটি লালবাগ মহকুমার সদর শহরও বটে। পশ্চিমপাড়ে রয়েছে ডাহাপাড়া ধাম, সতীপীঠ কিরীটেশ্বরী, খোশবাগ সহ একাধিক দর্শনীয় স্থান। পূর্বপাড় থেকে খুব সহজেই সদরঘাট হয়ে পৌঁছে যাওয়া যায়। একইভাবে পশ্চিমপাড় থেকে পূর্বপাড়ে যাওয়া যায়। নৌকায় দুই পাড়ের মধ্যে মানুষের পাশাপাশি টোটো, ভ্যান, লছিমন ও ছোটগাড়ি পারাপার হতো। আর তখনই চারচাকা নৌকায় ওঠা বা নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে গিয়ে প্রাণহানিও ঘটায়।