ব্রিগেডের দিন হাওড়ায় বন্ধ ফেরি সার্ভিস পরিষেবা। তারই জেরে ক্ষোভ আছড়ে পড়তে দেখা গেল হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন লঞ্চ ঘাটে। আর এই ঘটনায় বাম কর্মী সমর্থকদের ধারনা, রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশে যাতে হাওড়া স্টেশন থেকে সাধারণ মানুষ যেতে না পারেন তার জন্য পরিকল্পিতভাবে রবিবার সকাল থেকে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রেখেছিল হুগলি নদী জলপথ পরিবহন সমিতি। কারণ, প্রতি রবিবার এই ফেরি সার্ভিস চালু থাকে। কিন্তু ব্রিগেড সমাবেশের দিন বিনা কারণেই তা বন্ধ রাখায় সবারই ধারনা হয় ব্রিগেড বানচাল করতেই রবিবার ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য সময়ে সমাবেশে যোগ দিতে ট্রেনে করে বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষেরা হাওড়া স্টেশনে নেমে লঞ্চে করে বাবুঘাট হয়ে ময়দানে পৌঁছে যান। রবিবার হাওড়া স্টেশনে এসে ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় অসুবিধায় পড়েন ব্রিগেডে আসা বামকর্মীরা। ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালেও কেন বন্ধ ফেরি সার্ভিস তার কোন সদুত্তর দিতে পারেনি পুলিশ আধিকারিকেরা।
এদিকে হুগলি নদী জলপথ পরিবহন সমিতির কর্তৃপক্ষ জানান লঞ্চ সার্ভিস করানোর জন্য রবিবার বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি সার্ভিস। কর্তৃপক্ষের যুক্তি মানতে রাজি নয় বামপন্থী কর্মী সমর্থকেরা। কোনভাবেই ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে রেখে বামপন্থী কর্মী সমর্থকদের সমাবেশে যাওয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে পারবেন না ফেরি সার্ভিস কর্তপক্ষ, এমনটাই জানান সিপিআইএম জেলা সম্পাদক দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে এও বলেন সম্পূর্ণরূপে অনৈতিকভাবে একদিন আগে নোটিশ দিয়ে ফেরি সার্ভিস বন্ধ করা যায় না। এই ঘটনায় পার্টির জেলা কমিটির পক্ষ থেকে জেলা শাসকের সাথে কথা বলে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।