ভোট ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাতিল হল পুলিশ কর্মীদের ছুটি। শুধু তাই নয়, এই মর্মে ইতিমধ্যেই একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে সমস্ত এডিজি, আইজিপি, ডিআইজি, সিপি, এসপি ও সিওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভীষণ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভোট প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও পুলিশ কর্মীর ছুটি যেন মঞ্জুর করা না হয়। আর রাজ্যের তরফে এই পদক্ষেপ থেকে স্পষ্ট যে, নির্বাচন প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ প্রশাসন যে কোনওরকম চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না।
প্রসঙ্গত, শনিবারই লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ভোট প্রক্রিয়া অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তপূর্ণ করতে কমিশন যে বদ্ধপরিকর সে কথা সাংবাদিক বৈঠকেই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। কমিশনের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ভোট প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণভাবে করাতে অনেক বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও থাকবেন একাধিক পর্যবেক্ষক। যাঁরা ভোটের দিনগুলিতে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবেন। দেশজুড়ে হতে চলা লোকসভা নির্বাচনে কোথাও হিংসা বা রক্তক্ষয় বরদাস্ত করা হবে না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজীব কুমার। কমিশনের আরও নির্দেশ, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোটের দায়িত্বে রাখা যাবে না। এক জায়গায় তিন বছর ধরে কোনও পুলিশ আধিকারিক কাজ করছেন এমন ব্যক্তিদের ট্রান্সফারের যে বিধান কমিশনের নিয়মে রয়েছে তা সমস্ত রাজ্যকে পালন করার কথাও সাফ জানিয়ে দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। একইসঙ্গে, ভোটে যথেচ্ছ টাকার ব্যবহার নিয়েও কড়া মনোভাব দেখিয়েছে কমিশন। ভোটে যে কোনও ভাবেই ‘মানি মাসল’ও ব্যবহার করা যাবে না, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অতীতে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন নির্বাচনে রক্তক্ষয়ের ইতিহাস রয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে পুরসভা, কিংবা বিধানসভা নির্বাচন, সবক্ষেত্রেই ঝরেছে রক্ত। দফায় দফায় ছড়িয়েছে অশান্তি। মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে গিয়েছে। আর শুধু নির্বাচনের আগে বা ভোটের দিনেই নয়, ভোট পরবর্তী হিংসাতেও উত্তপ্ত হয়েছে বাংলা। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে রাজনৈতিক দলগুলি। আর সেই কারণেই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে তৎপর কমিশন। পাশাপাশি ভোট ঘোষণার পরেই দেখা গেল পুলিশ কর্মীদের ছুটি বাতিলে বিজ্ঞপ্তি জারি হল। প্রসঙ্গত, এই বছর ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও।