যাদবপুরে বামেদের ক্য়াম্প অফিস ভাঙচুর, অভিযোগ জানাতে নিস্পৃহ স্থানীয় নেতারা

একদা বামেদের গড় হিসেবে পরিচিত ছিল যাদবপুর। আর এই যাদবপুরেই ভাঙা হল  বামেদের ক্যাম্প অফিস। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে এই‘হামলাকারী’দের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ জানাতেও ভয় পেয়ে গেল সিপিএম। সূত্রে খবর, বাঘাযতীন মোড় লাগোয়া কিশোর চক্রের গলির মুখে চেয়ার, টেবিল এবং ভোটার তালিকা নিয়ে আলাদা ভাবে সকাল থেকে বসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম এবং এসইউসিআই (সি) এর কর্মীরা। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, দুই দলের মাঝখানে থাকা সিপিএমের ক্যাম্প অফিসের টেবিল উল্টানো। চেয়ারও ভাঙা।  এই ঘটনা সম্পর্কে উপস্থিত সিপিএম কর্মীরা জানান, ‘ছ’সাতজন ছেলে বাইক নিয়ে এসে এই ভাঙচুর করেছে। কারা তা তো বুঝতেই পারছেন।’ এর থেকে বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়, ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরাই। এরপর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। তাঁদের দেখে সিপিএম কর্মীরা নিরাপত্তা ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেন। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক সিপিএম কর্মীদের জিজ্ঞাসা করেন তাঁরা কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে চান কি না। সঙ্গে এও আশ্বাস দেন,  তাহলে তাঁরা অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য সুপারিশ করবেন।

প্রবীণ এক সিপিএম নেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘কাউকে তো চিনি না। এরা অজ্ঞাত পরিচয়।’ এরপর সঙ্কীর্ণ গলিতে শুরু হয়ে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা লন্ডভন্ড ক্যাম্প অফিস গুছিয়ে ফের তাঁদের বসার ব্যবস্থা করে দেন। প্রবীণ ওই সিপিএম নেতা তাঁদের জানিয়ে দেন, অভিযোগ জানানোর বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কিন্তু অভিযোগ জানানোর ক্ষেত্রে এতো ভয় পেয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে বাম নেতাদের বলতে শোনা যায়, ,‘চার জুন ভোটের ফল বেরোবে। তরপরেও তো সকলকে পাড়ায় থাকতে হবে। তাই ভেবে চিন্তে কাজ করাই ভালো।’

সারা দিন ভোট নিয়ে ব্যস্ত থাকার পরে দিনের শেষে ওই তল্লাটের সিপিএমের এক এরিয়া কমিটির সম্পাদক বলেন, ‘ভয় একটা রোগ। তাই দশ শতাংশের বেশি ভোট বাঁচাতে পারলাম না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × four =