আরজি করের চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তকে যে কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলা নিয়ে গিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানান মমতা। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ফাঁসির পক্ষে আমি নই। তবে কোনও কোনও ঘটনায় শিক্ষা দেওয়ার জন্য এরকম শাস্তি দরকার, যাতে আর কেউ করার সাহস না পায়।’ সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে মমতা বলেন, ‘আমি নির্দেশ দিয়েছি, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলা নিয়ে গিয়ে, দরকার হলে ফাঁসির আবেদন জানানো হোক। যে কালপ্রিট এটা করেছে, তার কোনও ক্ষমা নেই।’
এদিকে শুক্রবারের ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে বসেছেন। সকাল থেকে চলছে বিক্ষোভ। একাধিক দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তাররা এই যে ক্ষোভ দেখাচ্ছে, সেটা সঙ্গত বলেই মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ওই সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘ওঁদের যা দাবি, তার সঙ্গে আমি একমত। তারা যা দাবি জানিয়েছে, পুলিশ তা মেনে নিয়েছে।’
হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘ডাক্তারদের গায়ে যাতে কেউ হাত না দেয়, তার জন্য আমরা প্রত্যেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প করেছি। আমরা যেমন দেখব, হাসপাতালের সুপার, প্রিন্সিপ্যালদেরও নিরাপত্তার বিষয়টা দেখতে হবে। তাদের দিক থেকে কোনও গাফিলতি ছিল কি না,সেটা আমরা তলিয়ে দেখব।’
রাজ্য সরকারের প্রতি আস্থা না থাকলে, যে কোনও এজেন্সির কাছে তদন্তের জন্য যাওয়া যেতে পারে, এমনটাও বলেছেন মমতা। সিবিআই তদন্ত হলেও কোনও আপত্তি নেই তাঁর। এরই রেশ টেনে মুখ্যমন্ত্রী এদিন এও বলেন, ‘সিবিআই তদন্তেও আপত্তি নেই, কারণ আমাদের কোনও কিছু লুকনোর নেই। আমরা চাই সঠিক তদন্ত হোক।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ২ টো পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করে জানান, ‘হাসপাতালে সিসিটিভি আছে। বুঝতে পারছি না এত সাহস হল কী করে। যাকে ধরা হয়েছে, তার ওখানে যাতায়াত ছিল। যারা বিভিন্ন কাজে যাতায়াত করে তাদের মধ্য়েই কেউ করেছে।’ একইসঙ্গে তিনি এও জানান, দরকার হলে পুলিশ কমিশনারকে আবারও পাঠানো হবে আরজি করে।