সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইলিশের পদেও লেগেছে বিবর্তনের ছোঁয়া। ইলিশ-বিরিয়ানিও ঢুকে গেছে বাঙালির পাতে। ইলিশ-বিরিয়ানি খেতে হলে এদ্দিন ভরসা ছিল কেবল নামীদামি রেস্তোরাঁই। এবার একটু চেষ্টা করে দেখা যাক না ঘরের চারদেওয়ালের মধ্যেই।
কী কী লাগবে অর্থাৎ উপকরণ-
৩০০ গ্রাম বাসমতি রাইস
৬ পিস ইলিশ মাছ
জায়ফল ও জয়িত্রী গুঁড়ো- হাফ চামচ
৫০ গ্রাম ঘি
আলু (বিরিয়ানির মতো করে কাটা)
পেঁয়াজ
এক গ্লাস দুধে পনেরো মিনিট আগে ভিজিয়ে রাখা এক চামচ কেসর
গরম মশলা- (দারচিনি ছোট ৩ টুকরো, এলাচ ১২টি, লবঙ্গ ১২টি)।
কীভাবে বানাবেন:
প্রথমে একটু বেশি তেলে মাছ ভেজে তুলে রাখতে হবে। তেলটিও তুলে রাখতে হবে আলাদা করে।
বাসমতি চালের ভাত প্রায় সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে রাখতে হবে।
আলু ও পেঁয়াজ ভেজে নিতে হবে আলাদা করে।
এবার একটি ডেকচি বা হাঁড়িতে ৫০ গ্রাম ঘিয়ের বেশির ভাগটাই নিয়ে ভালো করে ভিতরে মাখিয়ে দিতে হবে। তারপর সেদ্ধ ভাতের একটি লেয়ার তৈরি করে তার উপরে ভাজা দু’পিস মাছ ভাজা, আলু ও পেঁয়াজের তিনভাগের একভাগ দিতে হবে।
এরকম মোট তিনটি লেয়ার হবে এবং প্রত্যেক লেয়ারেই গরম মশলার তিনভাগের একভাগ আর জায়ফল-জয়িত্রী গুঁড়োর তিনভাগের একভাগ ছড়িয়ে দিতে হবে।
মাছভাজার তেল ও বাকি ঘি মিশিয়ে নিয়ে সেটিও ছড়িয়ে দিতে হবে তিনটি লেয়ারে। ভাত সেদ্ধ করার সময় লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নেওয়াই ভালো। এরপর হাঁড়িতে লেয়ার তৈরি করার সময়ে অল্প একটু লবণ ছড়িয়ে দিতে হবে প্রয়োজন হলে।
এবার সবচেয়ে উপরের লেয়ারটি উপরে সমান দূরত্বে তিনটি গর্ত করতে হবে আঙুল দিয়ে। ওই গর্তের মধ্যে দিয়ে ঢেলে দিতে হবে কেসর-ভেজানো দুধ।
এরপরে হাঁড়ির মুখটি আটা দিয়ে ভালো করে বন্ধ করে মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে ৫ থেকে ৭ মিনিট মতো। রান্না হয়ে গেলে পরিবেশন করার আগে প্রথমে মাছগুলি তুলে নিয়ে একবার ভালো করে পুরো ভাতটা হাতা দিয়ে নেড়ে নিতে হবে। হয়ে গেল বাড়িতেই ইলিশ-বিরিয়ানি।