সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা গেল বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর কথায়, ওই এলাকায় হিন্দু মহিলাদের বেছে বেছে তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। তাঁরা সেই কারণে কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে তাঁদের অত্যাচারের কথা জানাচ্ছেন। তাঁদের পরিচয় মানুষের সামনে আনতে পারছে না ভয়ের কারণে। এমনকি, পুলিশ ইচ্ছে করেই শেখ শাহজাহানকে খুঁজে বের করছে না বলেও সোমবার দাবি করেন লকেট। আর এরই রেশ ধরে সন্দেশখালির সঙ্গে ইরাক, ইরান, পাকিস্তানের তুলনা টানলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বঙ্গের শাসকদলকে বিদ্ধ করে বলেন, ‘আমরা আইএস দেখেছি। সন্দেশখালির অবস্থা এখন একইরকম হয়ে গিয়েছে।’ এই সূত্রেই সোমবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায় এও জানান, ‘আপনারা ভাবতেই পারবেন না এখন সন্দেশখালির অবস্থা কি। আমরা আইসিএস জঙ্গিগোষ্ঠীর কথা শুনেছি। আমরা ইরাক, ইরানের কথা শুনছি, আমরা পাকিস্তানের কথা শুনেছি। সেখানে কী ভাবে মহিলাদের উপর অত্যাচার করা হয়। আজ সেটাই পশ্চিমবঙ্গে হচ্ছে।’
এরপরই লকেট কটাক্ষ করে এও বলেন, ‘ ওখানে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু, শেখ শাহজাহানকে কেন পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁচলের তলায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাঁকে।’ এই সূত্রেই লকেটের সংযোজন, ‘সামনেই লোকসভা নির্বাচন আছে। ওঁর তো ৩০ শতাংশ মহিলা ভোট দরকার। তাতে, হিন্দু মহিলাদের যা কিছু হয়ে যাক। তাঁদের তো ওঁরা পাঁচশো টাকা দিচ্ছে। ৫০০ টাকা দিয়ে হিন্দু মহিলাদের কিনে নেওয়া হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি ইস্যুকে ইতিমধ্যে দিল্লির দরবারে নিয়ে গিয়েছে বিজেপি। এর আগে কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার উদ্যোগে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল তৈরি করা হয়েছিল। তাঁদেরকে বাংলায় পাঠানো হয়েছিল সন্দেশখালি এলাকা পরিদর্শনের জন্য। যদিও পুলিশ বাধা দেয় তাঁদের। এর আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে একপ্রস্থ আন্দোলন হয় সন্দেশখালি নিয়ে। সন্দেশখালির গ্রামে একাধিকবার যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি নেতৃত্ব।তবে ইতিমধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিতে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে সন্দেশখালি ইস্যুকে সাঙ্গ করে বিজেপি আগামী দিনে আন্দোলনের জোর বাড়াবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।