খাবারের তালিকা থেকে প্রিয় খাবার বাদ না দিয়েই এক মাসে কমাতে পারেন চার থেকে পাঁচ কেজি ওজন। এর জন্য চাই গরম জলে একটা পাতিলেবুর রস আর এক চামচ মধু। সকালবেলা খালি পেটে পান করলেই কাজ হবে চোখের নিমেষে। আর সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে লেবু জলের জুড়ি মেলা ভার। সকালবেলা খালি পেটে লেবুর জল পান করলে বেশ কিছু উপকার পাবেন হাতে নাতে। যেমন,
ওজন কমাতে সাহায্য করে লেবুর জল। লেবুর জল আপনার অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি ক্রেভিং এবং ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি এই পানীয়তে ফাইবার থাকায় এটি হজম ও মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। আর তাতেই কমে ওজন।
এছাড়া শরীর হাইড্রেটেড থাকলে কমে রোগের ঝুঁকি। দিনের শুরুতেই যদি লেবুর জল পান করা যায়, তাহলে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমে। এটি হজম স্বাস্থ্য উন্নত করে, ত্বককে ভাল রাখতে এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপ সুষ্ঠভাবে হতে সাহায্য করে।
এর পাশাপাশি লেবুর জল হজম স্বাস্থ্য আরও উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি বদহজম, পেট ফোলার মতো সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। দিনের শুরুতে লেবুর জল পান করলে সচল থাকে হজম প্রক্রিয়া।
সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে লেবুর রস ভিটামিন সি’তে পরিপূর্ণ। এটি দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ক্ষত সারিয়ে তুলতে, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে, কোলাজেন উৎপাদন করতে এবং ত্বকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এমনকী কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
শুধু তাই নয়, হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী লেবুর জল। লেবুর জলের মধ্যে পটাশিয়াম রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধমনীর অক্সিডেটিভ চাপ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি এড়াতে রোজ লেবুর জল পান করা মঙ্গল।
এছাড়াও ব্রণ, ফুসকুড়ি, র্যাশের সমস্যা লেগেই থাকে। এই সব সমস্যা এড়াতেও লেবুর জল পান করুন। লেবুর জলের মধ্যে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ত্বকের বার্ধক্য এবং যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর জল পান করলে এটি ত্বককেও হাইড্রেটেড রাখে এবং এতে ত্বকের জেল্লাও বাড়িয়ে দেয়।
এরই পাশাপাশি রোজ সকালে খালি পেটে এক গ্লাস লেবুর জল পান করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও সহজেই এড়ানো যাবে। এছাড়া দাঁতের এনামেলকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে লেবুর জল। তাই রোজ সকালে খালি পেটে এক গ্লাস লেবুর জল শরীরকে রক্ষা করবে বহু সমস্যা থেকেই।