গভীর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে বিপদ বাড়ছে বাংলার। ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টির জেরে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল ডিভিসি। শনিবার সকাল থেকে ৪৮ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে ডিভিসি, এমনটাই সূত্রে খবর। অন্য়দিকে ৭০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে দুর্গাপুর জলাধার। এর ফলে ডুবতে পারে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের নিচু এলাকা। উদ্বেগে রাখছে গালুডি, ম্যাসাঞ্জোর জলাধারও।
এখানেই শেষ নয়, ৫ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে তিলপাড়া জলাধার। ময়ূরাক্ষী নদী লাগোয়া বহু তল্লাট ডোবার আশঙ্কা। সিকিম, ভুটানের জলে উদ্বেগ বাড়ছে উত্তরবঙ্গে। প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগেও একবার জল ছাড়া হয়েছিল দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে। বর্তমানে প্রবল বৃষ্টি চললেও বিগত কয়েক মাসে বৃষ্টিতে বড়সড় ঘাটতি দেখা গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। সে কারণেই আমন চাষের মরসুমে উদ্বেগ বেড়েছিল চাষিদের। ফলে পূর্ব বর্ধমান-সহ বাঁকুড়া, হাওড়া ও হুগলি জেলায় আমন চাষ অনেকটা পিছিয়েও যায়।
উদ্বেগের আবহেই সপ্তাহখানেক আগে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছিল ৬ হাজার কিউসেক জল। যদিও তখনই জানানো হয়েছিল ১৫ দিন ধরে দফায় দফায় ছাড়া হবে জল। এদিকে বিগত তিন দিন ধরে নিম্নচাপের হাত ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। ভাসছে ড্যামগুলিও। সে কারণেই জলের চাপ মুক্ত করতে জল ছাড়া আবশ্যক হয়ে পড়েছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলে। অন্যদিকে অতিবৃষ্টিতে আবার ধানের বীজ জমিতেই পচতে শুরু করায় উদ্বেগ বাড়ছে চাষিদের মধ্যে।