বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হল নতুন নিম্নচাপ, এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। নিম্নচাপ এই মুহূর্তে অবস্থান করছে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের মাঝামাঝি এলাকায়। এরপর এটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। পরবর্তী দু’দিনে এটি দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধপ্রদেশ উপকূলে এগোবে। এই কারণেই মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। শুক্র ও শনিবার পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
সমুদ্র উত্তাল হবে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া সমুদ্রে। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গে বিকেলের পর হওয়া বদলের সম্ভাবনা। শনিবার থেকে ফের বৃষ্টি। শনি ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় বৃষ্টি। দিনের বিভিন্ন সময় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে খুব ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা দক্ষিণবঙ্গে নেই। বৃষ্টির সময়টুকু বাদ দিলে আগামী ৭২ ঘণ্টা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায় আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি তীব্র হতে পারে।
উত্তরবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলাতে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলায় এই মুহূর্তে খুব বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। মাঝে মাঝে তীব্র রোদ এবং ঘর্মাক্ত পরিস্থিতি। দুপুর বা বিকেলে দু-এক পশলা হালকা মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা। কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। রাতের তাপমাত্রা ২৬.৯ থেকে বেড়ে ২৭.২ ডিগ্রি। বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২.৩ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬৩ থেকে ৯২ শতাংশ।
আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচলপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, ঝাড়খণ্ড, অরুণাচলপ্রদেশ, আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, কঙ্কন ও গোয়া, মধ্যপ্রদেশ, কেরল এবং মাহে, অন্ধ্রপ্রদেশ, ইয়া নাম এবং কর্নাটকে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ এবং ওড়িশাতে। আগামী দু-তিন দিনে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা থাকবে কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা এবং গুজরাট রাজ্যে।