রথযাত্রা একদম দুয়ারে। আর রথযাত্রা এসে গেল মানে ঢাকে পড়ল কাঠি। পুজোর কিন্তু আর বেশি দেরি নেই। পুজো অর্থাৎ এই শারদীয় মরসুম শুরু হবে দুর্গাপুজো দিয়ে। এরপর আসবে কালীপুজো আর দীপাবলি। অর্থাৎ, একেবারে উৎসবের মরসুম কলকাতাবাসী তথা বাঙালিদের কাছে। এর রেশ চলবে একেবারে ক্রিসমাস আর নিউইয়ার পর্যন্ত। এই পুজো আর উৎসবকে কেন্দ্র করে মানুষ ভিড় জমাবে নানা শপিং মলে। এই তালিকা থেকে বাদ পড়বে না দক্ষিণ কলকাতার অ্যাক্রোপলিসও। শপিংয়ে আসবেন অনেকেই। অনেকে আসবেন উইন্ডো শপিং করতেও। আর এই শপিংয়ের মাঝে একটু মন কাড়া খাবার যদি মেলে তাতে ক্ষতির তো কিছু নেই বরং এটা উপরি পাওনা। ভুল বললাম, উপরি পাওনা নয়, এটা শপিংয়েরই একটা অঙ্গ। আর অ্যাক্রোপলিসে মনকাড়া খাবার আপনি এবার পাবেন ম্যাডওভার ডোনাটস-এ। পুজো শপিং-ই বা বলি কেন, পুজোতে বিভিন্ন মণ্ডপে হপিংয়ের সময় তো পেটে কিছু পড়ার দরকার। খালি পেটে কারই বা ভালো লাগে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরতে!
আর সেই কারণেই কলকাতার অ্যাক্রোপলিস মলে সফল উদ্বোধনের মাধ্যমে পূর্ব ভারতে প্রবেশের পর, ম্যাড ওভার ডোনাটস (এমওডি) সল্টলেকে তার দ্বিতীয় আউটলেট খোলার মাধ্যমে পূর্বাঞ্চলে তার প্রতিশ্রুতি দ্বিগুণ করল এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।
এখানে বলে রাখা ভালো, এই ম্যাড ওভার ডোনাটস হল হাতে তৈরি ১০০ শতাংশ নিরামিষ ডোনাট এবং সুস্বাদু খাবার তৈরির জন্য পরিচিত, ম্যাড ওভার ডোনাটস। শুধু তাই নয়, ম্যাড ওভার ডোনাটস হল ভারতের সবচেয়ে প্রিয় ডোনাট ব্র্যান্ড, যা জীবনের ছোট ছোট আনন্দ উদযাপন করার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পরতে পরতে। প্রাণবন্ত, স্বাগতপূর্ণ স্থান হিসেবে ডিজাইন করা দোকানগুলির সাথে, ম্যাজ ওভার ডোনাটস দীর্ঘ কাজ থেকে বিরতি নেওয়ার এক অত্য়ন্ত জনপ্রিয় জায়গা। সে পড়াশুনাই হোক বা অন্য যে কোনও কাজ। আর মানুষের কর্মচঞ্চল জীবনে কিছুটা বিরতি আনতে দ্রুত মেট্রো শহরগুলির সঙ্গে তার উপকণ্ঠেও এমওডি তার সংখ্যা বাড়াচ্ছে। চেষ্টা চালাচ্ছে সারা দেশের প্রাণবন্ত, উচ্চ-সম্ভাব্য বাজারগুলিতে প্রবেশ করার।
ম্যাড ওভার ডোনাটস (এমওডি) সল্টলেকে তার দ্বিতীয় আউটলেট খোলার পদক্ষেপ ব্র্যান্ডের আগ্রাসী সম্প্রসারণ কৌশলের ক্ষেত্রে একটি মাইলস্টোন বলা যেতেই পারে। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১২-১৫ মাসের মধ্যে এই অঞ্চলে ১২-১৫টি নতুন আউটলেট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ম্যাড ওভার ডোনাটসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং সিইও তারক ভট্টাচার্য জানান, ‘আমরা পূর্ব ভারতে অসাধারণ সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি এবং কলকাতায় আমরা এখন পর্যন্ত যে ভালোবাসা পেয়েছি তাতে আমরা রোমাঞ্চিত।’ একইসঙ্গে এও জানান, ‘আমাদের লক্ষ্য আগামী দুই বছরে এই অঞ্চলে ৭-৮টি স্টোর খোলা, যা আমাদের ব্র্যান্ড অভিজ্ঞতা তৈরি করতে সাহায্য করবে। সল্টলেকে উদ্বোধন সেই দিক থেকে এক ধাপ এগিয়ে দিল বলা যায় এবং এখানেই আমাদের যাত্রার শুরু মাত্র।’