এই মুহূর্তের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক মধুপর্ণাকে বাগদা থেকে জিতিয়ে বিধানসভায় পাঠিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই মধুপর্ণাকেই শহিদ সভার মূল মঞ্চে বক্তব্য রাখার জন্য পাঠায় ঘাসফুল শিবির। তবে তাঁর মুখে তাঁরই পারিবারিক দাদা ওরফে কেন্দ্রীয় বিধায়ক শান্তনু ঠাকুরের নাম। এরপরই কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘আমার প্রিয় দাদা শান্তনু ঠাকুরকে বলে দিই, আপনার ডায়বেটিস আছে। আপনাকে আর কষ্ট করতে হবে না। আপনি ঘরে থাকুন। আগামী লোকসভায় আপনার যত স্ট্রেস আছে আমাকে দিয়ে দিন। আপনার জন্য আপনার বোন সারা বাংলা ঘুরবে। আপনাকে আর কষ্ট করতে হবে না।’
২১-এর সভা থেকে তিনি বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘নির্বাচনের আগে নারীশক্তি নিয়ে কথা বলে। অথচ গত ৭ এপ্রিল বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, আমার দাদা, মাঝরাতে আমার বিধবা মা, আমাকে ঘর থেকে বার করে দিয়েছিলেন। সেই জবাব বিজেপি দেয়নি। আপনাদের ক্ষমতা নেই মমতার সামনে দাঁড়াবেন।’ এখানেই শেষ নয়, নিজের বক্তব্য শেষ করার আগে তিনি বলেন যে, যে কাজগুলো তাঁর দাদা করেননি সেই কাজগুলো তিনি করে দেবেন। শুধু তাই নয়, দাদার জন্য ‘কষ্ট’ করবেন তিনি।
তবে এদিনের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে মধুপর্ণাকে মুখে হাসি রেখে স্পষ্ট বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের ঘরের মেয়ে হয়ে এসেছি। এমএলএ হয়ে আসিনি। আপনাদের ভালবাসা ফিরিয়ে দেওয়ার পালা এবার আমার। অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রণাম জানাই। দাদা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রণাম জানাই।’