১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে হচ্ছে মহাকুম্ভ মেলা। আর এই মেলাতে পুণ্যলাভের আশায় কোটি কোটি মানুষ পা রাখছেন এই প্রয়াগরাজে। এদিকে মহাকুম্ভে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাণহানিও হয়েছে। আর তা নিয়েই কটাক্ষ করতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহাকুম্ভের প্রসঙ্গ টেনে মৃত্যুকুম্ভ বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই মন্তব্যের জবাব দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মহাকুম্ভ আমি নাইবা বললাম। এখন মৃত্যুকুম্ভ হয়ে গিয়েছে। মৃত্যুকূপের মতো। আমি মহাকুম্ভকে সম্মান করি। শ্রদ্ধা জানাই। পবিত্র গঙ্গা মাকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু, পরিকল্পনা না করে এত হাইপ তোলার জেরেই এতজনের মৃত্যু।’ এরপরই মৃতের সংখ্যা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। প্রশ্ন তোলেন, ৩০ জন সংখ্যাটা সঠিক কি না তা নিয়েও। স্পষ্ট ভাষায় প্রশ্ন করে জানতে চান, ‘কত মৃতদেহ ভাসিয়ে দিয়েছেন নদীতে? হাজার হাজার। আটবার আগুন লেগেছে। বড়লোক আর ভিআইপিদের জন্য লক্ষ টাকার ক্যাম্প। আর সাধারণ মানুষের জন্য লাইনে ১৫-২০ ঘণ্টা দাঁড়ান। যদি একটা মাদুরেও বসে, তার জন্য ২ হাজার টাকা। এক কাপ লাল চা-ও ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা। তারা যে জায়গা দিয়ে স্নান করবে, সেটা আলাদা। ভিআইপিরা যেখান দিয়ে স্নান করবে, তা আলাদা। আর সেই জলটা আপনারা দূষিত করেছেন। বিষাক্ত করেছেন। মহাকুম্ভের পবিত্র জায়গাটা।’
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘সব জায়গায় হাইপ তুলে দিয়েছে, এখানে স্নান কর, না হলে পবিত্র হবি না। মৃতদেহের উপর দিয়ে যাঁরা এই হাইপ তুলছেন, আর টাকা কামানোর জন্য ধর্মকে বিক্রি করছেন, তাঁদের আমি মন থেকে মেনে নিতে পারি না।’