বর্ষবরণের রাতে সল্টলেক মহিষবাথান উদয়নপল্লি এলাকায় পিটিয়ে মারা হয়েছিল এক ডেলিভারি বয়কে। অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বন্ধুরাই এই কাজ করেছিলেন বলে। আর এই অভিযোগের সত্যতা ধরা পড়ে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে। এই ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ পরে গ্রেপ্তার হলেন মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল নামে মূল অভিযুক্ত। সুদূর তেলেঙ্গানা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা।
বর্ষবরণের রাতে বছর ২৬–এর সুব্রত মাজি নামে ওই যুবককে ফোনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন সোনা নামে এক যুবক। কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরে আসবে বলে সুব্রত বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু আর তিনি ফেরেননি। মোবাইল ফোনেও ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি বাড়ির লোকজন। পরে পরিবার জানতে পারে মৃত্যুঞ্জয় নামে এক বন্ধু সুব্রতকে পাড়ার এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছেন। ওই ডাক্তার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এরপর পরিবারের লোকেরা বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান সুব্রতকে। পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সুব্রতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
তাঁকে পিটিয়ে মারা হয়েছে, সেই কথাই সামনে আসে। ঘটনার তদন্তে নেমে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা প্রথমে একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন মূল অভিযুক্ত মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল। তাঁর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়। এবার পলাতক ওই যুবক পুলিশের জালে ধরা পড়ল। কলকাতা থেকে তেলেঙ্গানা গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল ওই যুবক। পুলিশের কাছে সেই খবর গেলে তেলেঙ্গানা যান তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার সকালে জানা গিয়েছে, মৃত্যুঞ্জয় গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁকে দ্রুত বিধাননগরে ফিরিয়ে আনছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় এখনও অবধি গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত–সহ পাঁচজন। এর আগে সবুজ মিস্ত্রি, বাপন হালদার, বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও অসিত সরকার গ্রেপ্তার হয়েছেন।