ঘরেই তৈরি করুন প্রোটিন বার

সুস্থ থাকতে হলে খেতেই হবে প্রোটিন। কারণ, প্রোটিন আমাদের পেশী গঠনে সাহায্য করে। শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়। নতুন কোষ গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে প্রোটিনের। প্রোটিন চাহিদার থেকে শরীরে কম পরিমাণে গেলে রক্তও প্রয়োজনের তুলনায় কম তৈরি হয়। কোভিডের সময় থেকেই চিকিৎসকেরা জোর দিয়ে আসছেন এই প্রোটিন খাওয়ার উপরে। এদিকে প্রোটিন শরীরকে অনেকটা পরিমাণ এনার্জি দেয়। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে অনেকেই জোর দেন প্রোটিন পাউডার কিংবা প্রোটিন বারের উপর। বাজারে অনেক রকম প্রোটিন বার বা পাউডার কিনতে পাওয়া যায়। তবে এই সুস্বাদু প্রোটিন বারের মধ্যে চিনি, ক্যালোরি অনেকটা পরিমাণে থাকে। এতে উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি হয়। তাই এই সব প্রোটিন বার বা পাউডার খাওয়ার আগে অবশ্যই একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। আর এই প্রোটিন বার প্রয়োজনে বানিয়ে নিতে পারেন বাড়িতেও। এই প্রোটিন বারে যেমন হার্ট ভাল থাকবে তেমনই একাধিক শারীরিক সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, যারা বাড়তি ওজন নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তারাও কিন্তু খেতে পারেন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। হরমোনের অসামঞ্জস্যতা থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে। হাতের কাছে থাকা স্বাস্থ্যকর উপাদান দিয়েই বানিয়ে নেওয়া যাবে এই  প্রোটিন বার।

এর জন্য প্রয়োজন-

৩০০ গ্রাম রোলড ওটস

২০০ গ্রাম আমন্ড

২০০ গ্রাম কাজু বাদাম

৭০ গ্রাম আখরোট

৫০ গ্রাম পেস্তা

১ কাপ ফ্ল্যাক্স সিড পাউডার

সূর্যমুখীর বীজ

কুমড়োর বীজ

কিশমিশ

২ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো

জায়ফলের গুঁড়ো

হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট

পিনাট বাটার

মধু

ভ্যানিলা এসেন্স

২০টা খেজুর

চিয়া বীজ।

 

যেভাবে বানাবেন-

প্রথমে শুকনো কড়াইতে ওটস নেড়ে নিতে হবে। আমন্ড, কাজু, আখরোট, পেস্তা ছোট ছোট টুকরো করে রাখুন। ফ্ল্যাকসিডও গুঁড়ো করে নিতে হবে। খেজুর গরম জলে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে গ্রাইন্ডারে সামান্য জল দিয়ে বেটে নিন। কড়াইতে এই মিশ্রণ দিয়ে নেড়ে একে ওটস আর বাকি বাদাম কিশমিশের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। সব উপাদান ভাল করে মিশিয়ে একটা পাত্রে অলিভ অয়েল ব্রাশ করে ছড়িয়ে দিন । সামান্য ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন ১ ঘন্টার জন্য। ফ্রিজ থেকে বের করে বরফির মত কেটে তৈরি করে নিলেই হল প্রোটিন বার।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + 19 =