তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মেয়ো রোডে গান্ধিমূর্তির সমাবেশ। আরজি কর কাণ্ডের পরে প্রথমবার এক মঞ্চে মমতা-অভিষেক। আরজি কর কাণ্ডের পরে ছাত্র সংগঠনকে বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগঠন নিয়ে তাঁরা কী বার্তা দেন, সেদিকেই নজর সকলের। পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে এই মঞ্চ থেকেই। দলের অন্দরে খবর, ছাত্র বা যুবদের আগামী দিনের জন্য তৈরি করার কথা বারবার বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাম্প্রতিক সময়ে যুবদের একাংশের দলে নীরবতা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। এই অবস্থায় এই অস্থির পরিস্থিতি মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্র সমাজের উদ্দেশ্যে এদিন বার্তা দিতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধী দলের অভিযোগ যে ছাত্র সংসদের নির্বাচন আটকে। এই অবস্থায় ২৮ অগাস্টের মঞ্চ থেকে কলেজ ভোট নিয়ে বার্তা দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়া পুরনো-নতুন দূরত্ব মিটিয়ে এই অবস্থার মোকাবিলার বার্তা শীর্ষ নেতৃত্ব দিতে পারেন।
বুধবারের বক্তা তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের এগিয়ে দেওয়ার নির্দেশ তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ছাত্রীরা ছাড়া যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন বলে তিনি ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করেছেন। সভায় প্রধান বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। ২১ জুলাইয়ের পর ফের অভিষেক দলের কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখবেন। সমাবেশের মঞ্চ গত ১৩ বছরে রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য ও প্রকল্প-পরিষেবা নিয়ে থিমে মুড়ে দেওয়া হচ্ছে। দুটি বাছাই গান গাইবে ‘জয়ী’ ব্যান্ড।
প্রধান বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়া বক্তব্য রাখবেন সায়নী ঘোষ। ছাত্র সংগঠনের মহিলারাও বক্তব্য রাখবেন। সূত্রে খবর, বুধবার প্রকাশিত হচ্ছে একটি বই। প্রায় ১৫০ থেকে ১৮০ পাতার এই বইটির নামকরণ করেছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘সাথী’ নামের এই বইয়ের প্রচ্ছদও এঁকেছেন তিনি। ছাত্রদের ঐতিহাসিক এই প্রয়াসে মমতা একটি লেখাও দিয়েছেন এই বইয়ের জন্য। নেত্রী ছাড়াও বইতে লিখেছেন প্রাক্তন ছাত্র নেতারাও। প্রথম বিভাগে রয়েছে প্রাক্তন সভাপতিদের কলাম। ভূমিকা লিখেছেন টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী ও একসময়ের ছাত্রনেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ‘আমার দেখা ছাত্র রাজনীতি’ নামক একটি লেখাও থাকছে। ছাত্র পরিষদের ইতিহাস শীর্ষক লেখা রয়েছে কুমুদ ভট্টাচার্যের। লিখেছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও। দ্বিতীয় বিভাগে রয়েছে স্মৃতিকথা। সেখানে লিখেছেন মিহির গঙ্গোপাধ্যায়, সৌগত রায়, অশোক দেব, মানস ভুঁইয়া, মলয় ঘটক, নির্বেদ রায়, অলক দাশ, মালা রায়, পার্থ ভৌমিক, গৌতম দেব, অরূপ বিশ্বাস-সহ আরও অনেকে।