দিল্লি সফরে গিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নীতি আয়োগের বৈঠকের যোগ দিতে শুক্রবার কলকাতা থেকে দিল্লিতে যান মমতা। বর্তমানে জেলবন্দি কেজরিওয়াল। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর তাঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বাড়িতে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা। মমতাকে স্বাগত জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী সুনিতা। পাশাপাশি তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন মমতা। পাশাপাশি পাশে থাকার বার্তা দেন মমতা। কেজরিওয়ালের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা।
সূত্রে খবর, কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনিতার সঙ্গে বেশ কয়েক ঘণ্টা কথাও বলেন মমতা। দুজনের মধ্যে কী নিয়ে কথা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সাক্ষাৎ রাজনৈতিক দিক দিয়ে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীরা। কিন্তু এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন মমতা। এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন মমতা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেব। বৈঠকে বলতে দিলে বাংলার প্রতি লাগাতার বঞ্চনার ও বাংলা ভাগের যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবো। আমি জেনেছি হেমন্ত সোরেনও যাবেন। মমতা বলেন, নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর একটাই স্ট্যান্ড, ‘কোনও মতেই বঙ্গভঙ্গ হতে দেব না।’
প্রসঙ্গত, শনিবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নীতি আয়োগের বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু সেই বৈঠক বয়কট করেছেন ইন্ডিয়া জোটের শরিক পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, কর্নাটক, কেরল, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীরা। কিন্তু মমতা গেছেন। এ নিয়ে মমতা বলেন, ‘নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে অন্যরকম ভাবতাম, যদি আগে থেকে জানানো হত বাকিরা বয়কট করছে।’