লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার বড় ইঙ্গিত মিলল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তিনি যা ইঙ্গিত দিলেন তাতে ডিসেম্বর মাসেই নির্বাচন সংগঠিত করা হতে পারে লোকসভা নির্বাচন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একইসঙ্গে এও দাবি করেন, প্রচারের জন্য বিজেপি সমস্ত হেলিকপ্টার ইতিমধ্যে বুক করে নিয়েছে। আর এই হেলিকপ্টার প্রচারের কাজে লাগানো হতে পারে। সেই অনুমান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অনুমান বলেও এদিন জানান তিনি।
এরই রেশ ধরে এদিন তিনি এও জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে জানান, যদি বিজেপি টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে আসে তাহলে দেশের মানুষ স্বৈরাচারী শাসনের মুখোমুখি হবে। তিনি বলেন, ‘আমি আশঙ্কা করছি যে বিজেপি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে লোকসভা নির্বাচন করতে পারে।’
এদিন সিপিএম, বিজেপি এবং কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় তিনি ছাত্রদের ভূমিকা নিয়েও একাধিক বার্তা দেন। এমনকি, বিজেপি সমর্থিত ছাত্রদের মিছিলে ‘গোলি মারো’ স্লোগান নিয়েও চরম সমালোচনা করেন তিনি। এরকম স্লোগান বাংলার বুকে কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিরোধী দলের পাশপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নিশানায় ছিলেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, এদিনের সভায় উঠে আসে আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ। লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের হঠাতে ছাত্র, যুবদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলেও বার্তা দেন সভায় উপস্থিত হন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মী, সমর্থকদের।
তবে এদিনের সভায় রাজ্যে পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অনেক জায়গাতেই অন্যায় হলেও পুলিশ সেটা চুপচাপ বসে দেখছে বলেও জানান তিনি। আর সেই কারণেই পুলিশের উপর নজরদারি রাখার জন্যে রাজ্যে অ্যান্টি করাপশন সেল গঠন করা হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের একাংশের নিষ্ক্রিয়তার উপর নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।