টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। ফুঁসছে তিস্তা, জলঢাকা। একাধিক রাস্তায় নেমেছে ধস। যার জেরে শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সিকিমের। যত সময় যাচ্ছে ততই যেন জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। এই সমস্যা কেন্দ্রের জন্যই, সোমবার এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে এও জানান, ভূটান থেকে জল আসছে, যার জেরে ভুগতে হচ্ছে বাংলাকে। শুধু তাই নয়, এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, গঙ্গার ভাঙন রোধে এক পয়সাও খরচ করেনি কেন্দ্র। ডিভিসি যখন খুশি জল ছেড়ে দেয়, ফলে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। আয়েত্রী নদীর উপর বাঁধ তৈরির সময় রাজ্যকে জানানো হয়নি বলেও উষ্মাপ্রকাশ করেন মমতা।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বন্যা নিয়ে তোপ দাগেন ভূটানকে। বলেন, ‘ভূটানের জল আসছে প্রতিবছর। সিকিম যখন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র করল কেন্দ্রের দেখা উচিত ছিল। ওটার জন্য আজ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। জলপাইগুড়ির মানুষ জানেন, আগে করোলা নদী ভাসত। আমরা ২০ কোটি টাকা খরচ করেছি। ভূটানের জলে এখন আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ভাসছে।’ সঙ্গে এও বলেন, ‘গঙ্গার রোধে কেন্দ্র আজ পর্যন্ত এক পয়সাও খরচ করেনি। কিন্তু এটা কেন্দ্রেরই দেখার কথা। ১০-১২ বছর ধরে দেখছে না। ফরাক্কার ড্রেজিংও করেনি। এদিকে আমরা কোটি কোটি টাকা খরচ করেও কিছু করতে পারছি না। উত্তরবঙ্গে ধস নামলে সেনার উচিত খেয়াল রাখা। সেখান দিয়ে তাঁরাই যাতায়াত করেন।’ সঙ্গে এও জানান, আত্রেয়ী নদীতে বাঁধ দেওয়ায় জলসংকট তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সেচ দফতর শিফটিং ডিউটি করবে। দরকারে ছুটিও বাতিল হতে পারে।