তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সঙ্গে বৃষ্টি যেন সমার্থক হয়ে গিয়েছিল। প্রতিবছর তৃণমূলের শহিদ দিবসে ভারী বৃষ্টি হয় কলকাতায়। অধিকাংশ সময়েই বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়েই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবছরও সোমবার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস ছিল। তবে সভা চলাকালীন একফোঁটাও বৃষ্টিপাত হয়নি। এদিন তার ব্যাখ্যা দিতে গিযে বলেন, ‘জল নয়, চোখ দিয়ে আগুন বেরোবে।’
এমনকী গত কয়েক বছরের মতো ২০২৪–এর ২১ জুলাই বৃষ্টি হয়েছিল। তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সঙ্গে বৃষ্টি যেন সমার্থক হয়ে গিয়েছিল। প্রতিবছর তৃণমূলের শহিদ দিবসে ভারী বৃষ্টি হয় কলকাতায়। অধিকাংশ সময়েই বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়েই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর শহিদ সমাবেশের ভিড়ে বৃষ্টির কোনও প্রভাব পড়েনি। বরং ছাতা মাথায় দিয়ে, অনেক সময়ে ভিজতে ভিজতেও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনতে দেখা গিয়েছিল হাজার হাজার মানুষকে।আর এবারেও ২১ জুলাইয়ের মঞ্চের সামনে ভিড় সামান্যতম পাতলা হবে না, সেই আত্মবিশ্বাসও বরাবর দেখিয়ে এসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিকে শেষ কোন বছরে ২১ জুলাই বৃষ্টি হয়নি, তা মনে করছে পারছেন না রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, ২১ জুলাইয়ের আগের সন্ধেয মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘২১ জুলাই বৃষ্টিতে ভেজা আমাদের অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। যাঁরা জীবন দিয়েছেন, এ দিন তাঁদের অশ্রু দেখতে পাই।’ গত বছরে ২১ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘বৃষ্টি কী গায়ে লাগল? তা একবার স্নান করলেই ধুয়ে যাবে। কিন্তু, নোংরা মনে লাগলে ধোয়া যাবে না।’
আর এবার ২১ জুলাই কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের মূল সভামঞ্চে মমতা বক্তব্য রাখার সময়ে বৃষ্টিপাত হয়নি। বরং ভ্যাপসা গরম। সেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, কীর্তি আজাদ, শতাব্দী রায় এবং বিধায়ক মদন মিত্ররা। অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে তাঁদের তড়িঘড়ি সভামঞ্চ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় বলেই জানা গিয়েছে। মেঘমুক্ত আকাশের নীচে দাঁড়িয়েই দলনেত্রীর বার্তা শুনতে পেয়েছেন তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা। আবহাওয়ার এই মতি–গতিকে বিশেষ বার্তা হিসেবে দেখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, ‘সূর্যদেব বলছে, চোখ দিয়ে জল নয়, আগুন বেরোবে। আর সেইজন্য এ বার বৃষ্টি হয়নি। সেই আগুনে যারা কুৎসা করছে, অপপ্রচার করছে, তাদের ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেবে তৃণমূল কংগ্রেস।’