রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের অন্তর্বর্তী নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন মমতা। আদালত সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা রাও এই মামলায় নির্দেশ দেন, ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও মানহানিকর বা অসত্য মন্তব্য করা যাবে না। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, সম্প্রতি নবান্ন সভাঘর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, তাঁর কাছে মহিলাদের অভিযোগ আসছে। সেই মহিলারা অভিযোগ করছেন, রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। এই মন্তব্যকেই মানহানির সমান বলে আদালতের দ্বারস্থ হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
মামলার শুনানির সময় রাজ্যপালের আইনজীবী আবেদন করেছিলেন, মামলা চলাকালীন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিক হাইকোর্ট। বিচারপতি রাও অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানান, ১৪ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মানহানিকর কিংবা অসত্য বিবৃতি দেওয়া যাবে না।
যদিও হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সঞ্জয় বসু বলেছিলেন, “রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা চলছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে মন্তব্যগুলি মানহানিকর কিংবা অসত্য কি না, তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসেনি হাইকোর্ট। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মহিলারা তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন। রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষার দায় রয়েছে তাঁর। তিনি চোখ বন্ধ করে থাকতে পারেন না। তাঁর মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য মানহানিকর নয়।” হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হবে বলে সেদিনই জানিয়েছিলেন সঞ্জয় বসু। এবার সে পথেই পদক্ষেপ।