রাহুল গান্ধির জেলযাত্রার সাজার উপর স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত। এই রায়ে কংগ্রেসের পাশাপাশিই খুশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। টুইট করে রীতিমতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই জল্পনা শুরু হয়ে যায়, এবার সাংসদ পদ রাহুল গান্ধি ফেরৎ পাবেন কি না তা নিয়ে। সঙ্গে ২০২৪ সালে তাঁর নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার বিষয়টিও কার্যত নিশ্চিত হয়। এই প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লেখেন,’আমি রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনার খবরে অত্যন্ত খুশি। এতে আমাদের ইন্ডিয়া জোট আরও মজবুত হবে। একত্রে আমরা দেশমাতৃকার জন্য লড়াই করব এবং জিতব। এটা দেশের বিচার ব্যবস্থার এক বড় জয়।’
প্রসঙ্গত, মাত্র কিছুদিন আগেই বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়া জোটের দ্বিতীয় বৈঠকে একত্রে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাহুল গান্ধি। সেই মিটিংয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, রাহুল গান্ধি তাঁর ‘ফেভারিট’। উল্লেখ্য, এই বিরোধী জোটে সামিল হয়েছেন ২৬টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতানেত্রীরা। প্রত্যেক শীর্ষ নেতৃত্বেরই বক্তব্য, দেশের ভবিষ্যৎ এবং গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই একজোট হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু, বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অধীর চৌধুরীর তোপ এবং পালটা কুণাল ঘোষের জবাব নিয়ে সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সে ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের সমীকরণ নিয়ে নানা জল্পনা রটে যায়। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্ল্যাটফর্মে একেবারেই অন্য মুডে দেখা যায় মমতা এবং রাহুলকে। এমনকী কংগ্রেস নেতার হাত থেকে মুখসুদ্ধি নিয়ে মিটিংয়ে খেতে দেখা যায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে। একইসঙ্গে সোনিয়া গান্ধির সঙ্গেও বহুদিন পর সাক্ষাৎ হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বলা বাহুল্য, বেঙ্গালুরুর মিটিংয়ে মধ্যমণি ছিলেন সোনিয়া এবং মমতা।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, এর আগে মোদি পদবী মামলায় তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হওয়া নিয়ে নিজেকে নির্ভীক বলে দাবি করেন রাহুল গান্ধি। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন কেন আমার সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে? কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চোখে আমি আমার জন্য ভয় দেখেছি। আগামীদিনে আদানিকে নিয়ে আমি কী বলে ফেলি, তা নিয়ে তটস্থ প্রধানমন্ত্রী। আর সেই কারণেই আমার সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে।’ একইসঙ্গে রাহুল আরও বলেন, ‘সত্য ছাড়া আরও কোনও কিছু নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। এটাই আমার ধর্ম, এটাই আমার কর্ম।’