দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানও নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজয়কৃষ্ণকে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন, এমনটাই জানাচ্ছে সিবিআই। প্রসঙ্গত,একুশের নির্বাচনের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন এই শেখ সুফিয়ান। শুধু তাই নয়, এই শেখ সুফিয়ান বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তাঁর ‘জাহাজ বাড়ি’-র কারণে। এমনই তাহড় তৃণমূল নেতা চাকরির জন্য চার কোটি টাকা দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-কে। সিবিআই-কে দেওয়া বয়ানে এমনই দাবি এক সাক্ষীর।
আদালতে দেওয়া সিবিআই-এর নথি থেকে জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক ও এসএসসির তালিকা সুজয়কৃষ্ণকে পাঠিয়েছিলেন শেখ সুফিয়ান। টাকা দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের এজেন্ট অরুণ হাজরাকে। এখানেই শেষ নয়, সাক্ষীদের বয়ানে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। কাকুর বাড়িতে টাকা যেত টিভির বাক্সে। টাকার লেনদেনের সময় বন্ধ রাখা হত সুজয়কৃষ্ণের নিউ আলিপুরের বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা।
আইনজীবী সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই শেখ সুফিয়ানই বলতে পারবেন উনি নেতার কথায় না নেত্রীর কথায় টাকা দিয়েছিলেন। উনি তো বিশ্বস্ত সেনার একজন। আমি তো এটাও জানি অনেক তৃণমূল কর্মী নিজেকে তৃণমূলের সৈনিক পরিচয় দেওয়ায় তাদের শুনতে হয়েছে, অন্যদের থেকে দশ নিচ্ছি, তুমি ছয় দাও।’ অপরদিকে, বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, ‘আজ যদি সুফিয়ান এই কথা বলে তাহলে কাকে দিয়েছেন আর কার নির্দেশে এই টাকা দিয়েছেন তা বলে দিলে সুবিধা হয়।’