সন্দীপের মাথায় মমতার হাত ছিল, অভিযোগ শুভেন্দুর

বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী  বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। শুধু তাই নয়, ফের প্রশ্ন তুললেন কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। সাফ বললেন, ‘সরকারের মিথ্যাচার সামনে এসেছে। দেখা গিয়েছে পুলিশকে দিয়ে কীভাবে মিথ্যা বলানো হয়েছিল, ডাক্তার বোনের মা-বাবা যেভাবে মুখ খুলেছেন তাতে পুলিশের মুখোশ টেনে খুলে দিয়েছেন।’

এখানেই না থেমে আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘সন্দীপ ঘোষের আরজি করকে ভাঙচুর করার চিঠি (অর্ডার) সামনে এসেছে। শাহজাহানের মতো, কেষ্ট মণ্ডলের মতো, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো সন্দীপ ঘোষের একটার পর একটা বাংলোর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। ওর মাথায় ডাক্তার এসপি দাসের হাত ছিল, তার মানে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ছিল।’ শুভেন্দুর এ মন্তব্য নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা।

একইসঙ্গে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, ‘কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থ, ডিসি সেন্ট্রাল এবং পুলিশ কমিশনারেটের সিবিআই কাস্টডি চাইছি। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছি।’

প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের শুরু থেকেই কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। প্রশ্নের মুখে পড়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ভূমিকাও। তাঁকে অপসারণের দাবিতে জল গড়িয়েছে আদালতেও। তাঁর পদত্যাগের দাবি তাঁর কাছেই প্রতীকী শিরদাঁড়া-সহ ডেপুটেশনও জমা দিয়ে এসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। যদিও তদন্ত নামার পর থেকেই বিনীত লাগাতার বলেছেন, কলকাতা পুলিশ স্বচ্ছভাবেই তদন্ত করছে। কিছুই লুকানোর চেষ্টা করছে না। যদিও শেষ পর্যন্ত তদন্তভার চলে যায় সিবিআইয়ের কাছে। এরই মধ্যে আবার কিছুদিন আগে ঘটনার দিন অকুস্থলে থাকা লোকজনের ছবি দেখিয়ে চাপে পড়ে কলকাতা পুলিশ। যা আবার দেখিয়েছিলেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। সেখানে অভীক দে নামে এক ব্যক্তিকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্ট বলে দেখানো হয়। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল খোদ আইএমএ। এবার নতুন করে শুভেন্দুর দাবি ঘিরে চলছে চর্চা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + three =