অনলাইন ক্লাসের নামে মাথা পিছু তোলা হতো ৫০০ টাকা। কোভিডের সময় এই রকম অনৈতিক ভাবে টাকা রোজগার করার জন্যই ওই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যার মাথা ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং তাপস কুমার মণ্ডল। এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মানিকপুত্র সৌভিকও। ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যর জামিন মামলায় আদালতে এমনই বিস্ফোরক দাবি করল ইডি।
একই সঙ্গে, অল বেঙ্গল টিচার ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে বেসরকারি শিক্ষক সংগঠন তৈরি করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তার প্রেক্ষিতে ওই সংগঠন কেন তৈরি করা হয়েছিল, অনলাইনে শিক্ষকতার বিষয়টাই বা কীভাবে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। ওই সংগঠনের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কোনও যোগ আছে কি না তাও জানতে চায় আদালত।
ইডি জানায়, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য এবং তাপস কুমার মণ্ডল মিলে ঠিক করেছিলেন অনলাইন ক্লাস করানো হবে। ছাত্র পিছু ৫০০ টাকা করে নেওয়া হত। এই অ্যাসোসিয়েশনে মানিক ভট্টাচার্য এবং তাপস মণ্ডল, এরাই ছিলেন মূল মাথা। এর সঙ্গেও মানিক পুত্র সৌভিকের যোগ টানে ইডি।
এদিন অবশ্য ফের মানিকপুত্রের জামিনের আর্জি পিছিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। সৌভিকের আইনজীবীর দাবি ছিল, তাঁকে সাত মাস কোনওরকম প্রমাণ ছাড়াই জেলে রাখা হয়েছে। অযথা সময় নষ্ট করছে ইডি। এ পর্যন্ত সৌভিকের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দাবি সৌভিকের আইনজীবীর। মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার।