গুণমানের পরীক্ষায় ফেল নামী ব্র্যান্ডের বহু ওষুধ

গুণমানের পরীক্ষায় ডাহা ফেল নামী ব্র্যান্ডের ১৪৫টি ওষুধ। কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় ফেল করল দেশের ৫২টি ওষুধ। অন্যদিকে, বিভিন্ন রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলের পরীক্ষায় পাস করতে পারল না ৯৩টি ওষুধ। এই তালিকায় রয়েছে প্রায়ই ব্যবহার করা প্রেসারের ওষুধ থেকে অ্যালার্জি, বমির বেশ কয়েকটি ওষুধ। বাংলা-জুড়ে গোটা দেশ জুড়ে পরীক্ষা চালায় সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন। এরপরই এই ওষুধগুলোকে ‘নট অফ স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি’ বা সঠিক গুণমানের নয় বলে চিহ্নিত করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। গুণমান পরীক্ষায় ফেল সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক, শিশুদের সিরাপ। গুণমান পরীক্ষায় ফেল পশ্চিমবঙ্গ ফার্মার লিঙ্গার ল্যাকটেটও। এছাড়াও রয়েছে, গ্লেনমার্ক হেলথ কেয়ারের অত্যন্ত প্রচলিত রক্তচাপ কমানোর ওষুধ ‘টেলমা এ এম’, অ্যালকেম হেলথ কেয়ারের বমি বন্ধ করার ওষুধ ‘অন্ডেম ৪’। রয়েছে, টনসিল, ব্রংকাইটিস, গলা, কান, প্রস্রাবের সংক্রমণ বন্ধের অ্যান্টিবায়োটিক অ্যালার্জি বন্ধের ওষুধ, কফ সিরাপ রয়েছে। এই ওষুধগুলোর বেশিরভাগ প্রস্তুতকারক গুজরাটের ভদোদারা, আহমেদাবাদ, হিমাচল প্রদেশের বদ্দি, পুদুচেরি, মহারাষ্ট্রের তারাপুর, উত্তরাখণ্ডের রুরকি, হরিদ্বারে অবস্থিত।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, জানুয়ারি মাসে দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে র‍্যানডম স্যাম্পল টেস্ট করে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্য়ান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন। একইসঙ্গে প্রত্যেক রাজ্যের ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবেও ওই পরীক্ষা হয়। পশ্চিমবঙ্গে ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবের পরীক্ষায় ফেল করেছে দুটি বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার দুটি বহুল জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ওষুধ। একটি হল টেলমিসারটান, যা হার্টের সমস্যায় রোগীদের রোগীদের দেওয়া হয়। আরেকটি হল, অ্যামোক্সিসিলিন ও পটাশিয়াম ক্ল্যাভিউনেট।

এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ‘এই প্রথম একটি রিপোর্ট স্বাস্থ্যক্ষেত্রের ভিত্তিটাকেই সম্পূর্ণ নাড়িয়ে দিল। অর্থাৎ একজন ডাক্তারবাবু যখন প্রেসক্রিপশন করেন, রোগী ওষুধ খাচ্ছেন, এই দুটো স্তরের মাঝখানে যে একটা ভীষণ তফাৎ তৈরি হচ্ছে, অর্থাৎ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে রোগীরা গুণমান অনুতীর্ণ ওষুধগুলো খাচ্ছেন। রোগী সুস্থ হচ্ছে না, মৃত্যুর হার বাড়ছে। কিন্তু এর থেকে ভয়ঙ্কর আরও একটি বিষয়, যে অ্যান্টিবায়োটিকগুলো দেখা যাচ্ছে, সেগুলি নকল, গুণমান নিম্ন, তখন এটা আর এক রোগীকে প্রভাবিত করবে না, গোটা সমাজকে প্রভাবিত করবে। জিরো টলারেন্সে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা উচিত। তাঁদের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা উচিত। তাঁদের বিরুদ্ধে ক্রিমিন্যাল অফেন্সের কেস করা উচিত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 12 =