এক বিস্ফোরক দাবি করতে দেখা গেল প্রাক্তন রাশিয়ান রাষ্ট্রপতি এবং নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভকে।তিনি দাবি করেছেন, অনেক দেশ সরাসরি ইরানকে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত। ২০২৫ সালের ২২ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা, ফোর্ডো, ধ্বংস করার ঘোষণা দেওয়ার পর এই বিবৃতি দেন প্রাক্তন রাশিয়ান রাষ্ট্রপতি এবং নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ।নাতানজ এবং ইসফাহানে রাতভর হামলার পরই এমনটাই জানান তিনি।মেদভেদেভ বলেন, এই হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে তাঁকে ‘যুদ্ধপ্রেমী’ বলে অভিহিতও করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের ২১ জুন রাতে, আমেরিকা ইরানের তিনটি পারমাণবিক ঘাঁটি ফোরডো, নাতানজ এবং ইসফাহানে বি–২ স্পিরিট স্টিলথ বোমারু বিমান এবং ইউএসএস জর্জিয়া (এসএসজিএন ৭২৯) সাবমেরিন ব্যবহার করে একটি বড় সামরিক অভিযানে আক্রমণ করে। এই অভিযানে ফোর্ডোতে ১২টি জিবিইউ –৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল, যা ৬০ মিটার গভীর বাঙ্কার ভেদ করতে পারে। নাতাঞ্জে দুটি জিবিইউ –৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানে ৩০টি টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন যে এই হামলাগুলি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে। কিন্তু মেদভেদেভ ট্রাম্পের এ দাবি উড়িয়ে দিয়ে জানান, এই আক্রমণগুলি ব্যর্থ হয়েছে। এর সঙ্গে মেদভেদেভ তাঁর বিবৃতিতে মার্কিন হামলার নয়টি পরিণতি তালিকাভুক্ত করেন, যা এই আক্রমণের জেরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার গুরুত্ব ও গভীরতা প্রতিফলিত করছে। এদিকে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে কোনও তেজস্ক্রিয় লিক হয়নি। মাত্র ছয়টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ইরানি গণমাধ্যমের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ইতিমধ্যেই নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।