বিডন স্ট্রিটের লুঠের ঘটনায় উঠল নানা প্রশ্ন

বিডন স্ট্রিটে বৃদ্ধার বাড়িতে লুঠের ঘটনায় সামনে এল বেশ কিছু তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, কেয়ারটেকারকে ধারাল অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেয় দুষ্কৃতী। এরপর কেয়ারটেকারকে দিয়ে বৃদ্ধাকে ফোন করে দরজা খোলার কথা বলানো হয়। এরপর দরজা খুলতেই ভিতরে ঢোকে অভিযুক্ত। লুট করা হয় সব।

পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের জানতে পেরেছেন ঘটনার দিন রাত ১১.২০ নাগাদ এক দুষ্কৃতি বাড়িতে ঢোকে। ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে বাড়ির কেয়ারটেকারকে ফোন করতে বলে বৃদ্ধাকে। ফোন করে দরজা খুলতে বলে কেয়ারটেকার। এরপর তিনতলা থেকে রিমোটে দরজা খুলতেই দুষ্কৃতি ভিতরে ঢোকে। কেয়ারটেকার দোতলায় একটি ঘরের খাটের নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে পড়ে। এরপর ওই দুষ্কৃতি মুখে ও মাথায় গামছা পেচানো অবস্থায় তিনতলায় গিয়ে বৃদ্ধার ঘরের বাইরে লাগানো সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। তারপর বৃদ্ধার ঘরে গিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে আলমারি থেকে লুটপাট চালায়। অপর এক দুষ্কৃতি নিচে লুকিয়ে ছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

দুষ্কৃতী উপরে ওঠার সময় কেয়ারটেকারের ফোনটি কেড়ে নিয়ে নেয়। লুঠপাট চালিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় কেয়ারটেকারের ফোন রেখে যায়। এমনকী বেরোনোর আগে মুখে ও মাথায় পেচানো গামছা খুলে ফেলে রেখে যায়।

যদিও, এই ঘটনার পর একাধিক প্রশ্ন উঠছে। তিনতলায় কোথায় সিসি ক্যামেরা আছে কীভাবে জানত দুষ্কৃতি তা নিয়েও। সঙ্গে এ প্রশ্নও উঠছে যে, কেয়ারটেকারের ওপর কেন চড়াও হয়নি দুষ্কৃতি তা নিয়েও।এমনকি কেয়ারটেকারের মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিলেও আবার রেখে দিয়ে কেন গেল তা নিয়েও তৈরি হয়েছে এক বড় প্রশ্নচিহ্ন। কারণেই তদন্তকারীদের অনুমান এই বাড়ির বিশেষত পরিচিত কারও যোগ থাকার জোরালো সম্ভাবনা আছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + 5 =