আবারও দখলমুক্ত অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। বুধবার রাতে দক্ষিণেশ্বর রেল বস্তি উচ্ছেদে নামে রেল। সূত্রে খবর, দক্ষিণেশ্বরের এই জমি দখল মুক্ত করতে এটি ছিল রেলের অষ্টম অভিযান। আরপিএফ-এর বিশাল বাহিনী নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে পৌঁছন রেলের আধিকারিকরা। তবে আবারও খালি হাতেই ফিরতে হয় রেলকে।
এর আগে একাধিকবার বোঝানো হয়েছে বাসিন্দাদের। উচ্ছেদের জন্য সাত বার সমস্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযান চালিয়েছে রেল আধিকারিকরা তাও মেলেনি সাফল্য। বহুদিন ধরে চলে আসছে এই জমি জট। এবারও আরপিএফ বাহিনী উচ্ছেদ করতে এসেও ফিরল খালি হাতে। এই দক্ষিণেশ্বর রেল বস্তি অঞ্চলে ৩০০ থেকে প্রায় চারশোর কাছাকাছি পরিবার আছে। এই রেল বস্তিতে প্রায় ১৫০০ হাজার ভোটার আছে। প্রায় প্রায় দু হাজার থেকে ২৫০০-এর কাছাকাছি মানুষ বসবাস করেন। তাদের দাবি, সঠিক পুর্নবাসন না দেওয়া হলে এই উচ্ছেদ অভিযান তারা হতে দেবেন না।
এই রেল বস্তিতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বছর ধরে মানুষ বসবাস করছেন। তাদের আধার কার্ড, ভোটের কার্ড, রেশন কার্ড সবই এই দক্ষিণেশ্বর রেল বস্তির ঠিকানায়। এদের ছেলেমেয়েরাও এখানেই পড়াশোনা করে বড় হচ্ছে। তারা কেউ ভিক্ষা করেন, কেউ আবার বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করেন। কেউ দক্ষিণেশ্বর অঞ্চলে ফেরি করে বিভিন্নভাবে কাজ করে তারা জীবন যাপন করছে। তাদের একটাই দাবি, স্থায়ী ঠিকানা। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক। এইভাবে এত বছর পর তারা আচমকা একদিন মাথার ছাদ চলে গেলে তাঁরা যাবেনই বা কোথায়!
এদিকে মাথায় ছাদ হারানোর শঙ্কায় প্রায় আড়াই হাজার মানুষের একটাই দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বসবাসের পর এটাই তাদের ঠিকানা হয়ে গিয়েছে। পুনর্বাসন না দিলে সরা সম্ভব নয়। পুনর্বাসন দিলেই জায়গা ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। বিক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের দাবি,’যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করা হবে, ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব কোনওরকমেই আমাদের বিনা পুনর্বাসনে রেল কর্তৃপক্ষ এখান থেকে তুলতে পারবে না।’