কয়েকদিন আগেই নজরে এসেছে নিমতলা ঘাটের গঙ্গা ভাঙন।যার জেরে চিন্তায় প্রশাসন। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ধারণা, হাওড়ার দিকে পলি জমায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। এরপর সোমবার মেয়র গঙ্গারঘাটগুলি পরিদর্শন করেন তিনি। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে ছিলেন পুরকর্মীরাও। আদি গঙ্গাকে কীভাবে পুনরায় নিজেদের জায়গায় ফেরানো যায় সেই নিয়েই চলে আলোচনা। কারণ, যেভাবে একাধিক পাড়ে ভাঙন দেখা যাচ্ছে তাতে আগামীতে বড় বিপর্যয় এলে বাড়তে পারে বিপদ। শহর কলকাতাও হতে পারে বানভাসি। তাই আগে ভাগেই পদক্ষেপ করতে পরিদর্শনে বের হন মেয়র।
এ দিন গঙ্গার ঘাট পরিদর্শন করে মেয়র জানান, ‘মানুষকে সচেতন হতেই হবে। আগের সরকার প্ল্যানিং না করায় আদি গঙ্গায় ময়লা ফেলা হত। কেন্দ্রীয় সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। দিল্লিতে এমন জায়গা আছে যেখানে ওয়াটার মাফিয়া আছে। জল পাওয়া যায় না। সেখানে বাংলায় গঙ্গা আছে। ১০০ বছর বাদে এখানেও যাতে জল কষ্ট না হয় তার জন্য এখন থেকেই সচেতন হতে হবে। ড্রেজিংয়ের সমস্যা বেশ কিছু জায়গায়। যার জেরে নিমতলা থেকে ফলতলা ঘাট ভাঙছে। পোর্ট ট্রাস্ট সেন্ট্রালকে দেখতে হবে। ফরাক্কাতেও দরকার ড্রেজিংয়ের। তবে গঙ্গা পোর্ট ট্রাস্টের। ওদের জানিয়েছি। পোর্ট ট্রাস্ট,পুরসভা বসে একসঙ্গে বসে পরিকল্পনা করব। আদি গঙ্গার পলি সরাতে প্রায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।’
বস্তুত, গত শুক্রবার রাত্রিবেলা গঙ্গার স্রোতে ভেসে যায় নিমতলা ঘাটের একাংশ। শুধু তাই নয়, নিমতলা ঘাটে রবিঠাকুরের সমাধিক্ষেত্র ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ। সেটিও কার্যত বিপদসীমার মধ্যে।ফলে গঙ্গার গ্রাসে তলিয়ে যাওয়ার আতঙ্ক বাড়ছে নিমতলা–বাগবাজারসহএকাধিকএলাকায়।