শনিবার সন্দেশখালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। প্রথমে কার্যত পুলিশকে ‘ঘোল’ খাইয়ে এলাকায় ঢুকলেও পরে তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলা যাবে না বলেও জানান তাঁরা। এরপরই পর থেকেই পুলিশের সঙ্গে কার্যত উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয় দু’পক্ষের। ডিওয়াইএফআই নেত্রী এরপরই পুলিশ আধিকারিকের কাছে জানতে চান, বারবার জানতে চান কেন তাঁরা এলাকায় পৌঁছতে পারবেন না তা নিয়েই। ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও দু’জন প্রতিনিধি অন্তত সেখানে যেতে পারবেন। কিন্তু এতেও রাজি হননি পুলিশ আধিকারিকরা। তবে পুলিশকে লুকিয়ে বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সন্দেশখালিতে ঢুকে পড়ার এই প্রচেষ্টায় সন্দেশখালিতে ওড়ে লাল পতাকা। তবে পুলিশি বাধা আসতেই রাস্তায় বসেই অবস্থান শুরু করেন মীনাক্ষী।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্দেশখালিতে যেতে গিয়ে সন্দেশখালি ঘাটেই বাধার মুখে পড়েন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ বাম প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যদের। এরপর সন্দেশখালি নদীর ঘাটেই বসে পড়েন মীনাক্ষী। এরপর তিনি দাবি করেন, তাঁকে গ্রামে ঢুকতে দিতে হবে। তারপর ঘাট থেকে উঠে বসিরহাটের এসপি অফিসের দিকে রওনা দেন বাম প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। লক্ষ্য, এসপি অফিসে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া।
তবে এদিনেরএ ই বাকবিতণ্ডার সময় মীনাক্ষীর পাশ থেকেই আর এক বাম কর্মীকে দেখা গেল মীনাক্ষীকে পরামর্শ দিতে। তিনি বললেন, ‘ব্যাগ সামলে রাখো। অস্ত্র ঢুকিয়ে দিতে পারে।’ কারণ, বাম কর্মীর আশঙ্কা ভিড়ের মধ্যেই তাঁদের মিথ্যা কেসে ফাঁসানোর জন্য কেউ ব্যাগে অস্ত্র ঢুকিয়ে পারে। তাই তিনি মীনাক্ষীকে পরামর্শ দেন যাতে তিনি তাঁর ব্যাগ সামলে রাখেন। এরপর কোল পাঁজা করে ব্যাগটিকে ধরে মীনাক্ষী বলেন, ‘অস্ত্র কী ঢোকাবে?’ পাল্টা বাম নেত্রীকে এও সতর্ক করে জানানো হয়, ‘ওদের তো বলা যায় না।’ এই মন্তব্য থেকে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, তবে পুলিশের নিরপেক্ষতার উপর ভরসা রাখতে পারছেন না বাম নেতৃত্ব? এদিকে বেড়মজুরের দম্বল পাড়ার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, তাঁদের আস্থা নেই পুলিশে। সে কারণেই নতুন করে প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন। অভিযোগ, এখনও তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মিডিয়ায় কথা বলার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ঘটনা এটি। শেখ শাহজাহানের ফাঁসির দাবিতে সরব হতেও দেখা যায় এলাকার মহিলাদের।