বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৈঠক হল নবান্নে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য পুলিশের ডিজি, মুখ্য সচিব,স্বরাষ্ট্র সচিবকে নিয়ে এই বৈঠক করেন। মূলত গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি রাখার কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন মমতা। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাগুলি থেকে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলি থেকে যেন প্রতি মুহূর্তে রিপোর্ট আসে, তা নিয়ে পুলিশকে বিশেষ নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য সংরক্ষিত কোটার জেরে ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। আর তিনি দেশ ছাড়তেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্ষমতায় রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। অন্যদিকে, বাংলাদেশের অস্থিরতার কারণে নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে ভারত-বাংলা সীমান্তে। শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ির বাংলাবান্ধা সীমান্তে বাংলাদেশের দিকে শুরু হয়েছে জনরোষ। সীমান্তের ওপারে টায়ারে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে আন্দোলনকারীরা৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অতিরিক্ত বিএসএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে সীমান্তে। পাশাপাশি ভারতীয় সেনাকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তাতে আতঙ্কিত দু’পারের মানুষই।
বাংলাদেশে এই অস্থিরতার জেরে নিরাপত্তা আঁটোসাটো করা হয়েছে সীমান্ত এলাকায়। এদিন বিএসএফ-এর ডিজি দলজিত সিং চৌধুরী সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে আসেন বলেও জানা গিয়েছে। বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন পেট্রাপোল সীমান্তের ব্যবসায়ীরা।