বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার তৈরি ছয় সদস্যের এক হাই পাওয়ার কমিটি সরেজমিনে দেখতে চান সন্দেশখালির ঘটনা। সন্দেশখালির বাস্তব চিত্র সরেজমিনে ঘুরে দেখে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেবে এই হাই পাওয়ার কমিটি। আর সেই কারণেই শুক্রবার সকালেই সন্দেশখালি যাচ্ছেন বিজেপির হাই পাওয়ার কমিটির সদস্যরা। এদিকে সূত্রে খবর, এই কমিটির সদস্যদের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত আটটায় কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন সুনীতা দুগ্গল। এর আগে কলকাতা পা রেখেছেন অন্নপূর্ণা দেবী এবং সগীতা যাদব।এঁরা এসে উঠেছেন নিউটাউনের এক পাঁচতাঁরা হোটেলে। এদিকে প্রতিমা ভৌমিক, ব্রিজ লাল, কবিতা পতিদাররেও এদিনই রাতে কলকাতা পৌছানোর কথা।
এদিকে সন্দেশখালির ঘটনায় উত্তাল জাতীয় রাজনীতিও। বিশেষ করে সেখানকার মহিলারা যে মারাত্মক অভিযোগগুলি তুলছেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে দিল্লির রাজনীতির অন্দরমহলেও। মহিলারা যে অভিযোগগুলি তুলছেন, তা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক বলেই মনে করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বিজেপির থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, মহিলাদের উপর উৎপীড়ন ও গুন্ডাগিরির যে অভিযোগ উঠছে, তাতে প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকায়। গোটা রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এমনই এক প্রেক্ষিতেএকটি হাই পাওয়ার কমিটি গঠন করেছেন জে পি নাড্ডা। এদিকে সন্দেশখালিতে বিজেপির টিম পাঠানো প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করেছে তৃণমূল শিবির। রাজ্যের শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘মণিপুর বা অন্য জায়গায় মহিলাদের উপর নির্যাতন হলে, সেখানে তৃণমূল প্রতিনিধি দল পাঠালে, তাঁদের যেতে দেওয়া হত? নিজেরা সেই সব রাজ্যে গিয়েছেন যেখানে নারী নির্যাতন হত?’