বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি ঘূর্ণাবর্তের ওপর নজর আবহাওয়া অফিসের

বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। সেটি ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপ এমনকী পরে ঘূর্ণিঝড়ের রূপও নিতে পারে, এমনাটই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এদিকে ভুবনেশ্বরে আবহাওয়া দফতরের আঞ্চলিক বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলেও এখনও এতোটা এগোয়নি। সবে উত্তর আন্দামান সাগরের উপরে এই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এর শক্তি বৃদ্ধি হতে পারে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ২৪ ঘণ্টায় এটি শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপ এবং তারপরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণেই বিষয়টির দিকে কড়া নজর রেখেছে হাওয়া অফিস। শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা, সেটা আর কয়েকদিনের মধ্যে স্পষ্ট হবে।

তবে এদিনই মৌসম বিভাগের ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, অক্টোবর ওড়িশার জন্য একটি ঘূর্ণিঝড়-প্রবণ মাস। তবে এখনও পর্যন্ত আমরা কোনও ঘূর্ণিঝড়ের ভবিষ্যদ্বাণী করিনি। একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে গুজবে কান না দেওয়ার কথাই জানান তিনি। নজর রাখতে বলেন, আইএমডি শেয়ার করা তথ্য অনুসরণের ওপর।

শনিবার শহর কলকাতায় ও শহরতলির বেশ কিছু জায়গায় সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। কলকাতা ও শহরতলিতে সকাল থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও হয়। এরপর দিনভর চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রবিবার থেকে তাপমাত্রা বাড়বে শহর ও শহরতলিতে এবং একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও।

এদিকে প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি। বিশেষ করে একেবারের উপরের দিকের পাঁচটি জেলা অর্থাৎ, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে মুশলধারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে রবিবার উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে দক্ষিণের জেলাগুলিতে তুলনায় বৃষ্টি কিছুটা কম হবে। সোমবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ এবার থেকে একটু একটু করে কমবে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রবিবার পাহাড় ও ডুয়ার্সে অর্থাৎ উত্তরের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সবথেকে বেশি বৃষ্টি হতে পারে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে। কয়েকদিনের নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে পাহাড়ি জেলাগুলিতে বেশ কিছু জায়গায় ধস নামার আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জেরে পার্বত্য জায়গাগুলিতে দৃশ্যমানতাও কিছুটা কমে যেতে পারে। প্রবল বর্ষণের জেরে উত্তরের জেলাগুলিতে নদীর জলস্তর বৃদ্ধির সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে দক্ষিণের জেলাগুলিতে তুলনামূলকভাবে কিছুটা কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 1 =