মাইক্রো ফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রি নেটওয়ার্ক ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের মাইক্রোমিটারের  ৫৩ তম সংস্করণ প্রকাশ করল

মাইক্রো ফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রি নেটওয়ার্ক অর্থাৎ এমএফআইএন ৩১ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত ইনডাস্ট্রি পজিশনের  এর উপর ভিত্তি করে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের মাইক্রোমিটারের  ৫৩ তম সংস্করণ প্রকাশ করল। মাইক্রো ফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রি নেটওয়ার্ক হল ব্য়াঙ্ক, এনবিএফসি-এমএফআইএস, এসএফবিএস এং এনবিএফসিএস এর একটি ইনডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন যারা মাইক্রোফাইন্যান্স প্রদান করে এবং এটি আরবিআই স্বীকৃত একটি স্ব-নিয়ন্ত্রিত সংগঠন। মাইক্রোমিটার হল এমএফআইএন-এর ফ্ল্য়াগশিপ পাবলিকেশন যা কোয়াটারলি বেসিস-এ ভারতীয় মাইক্রফাইন্যান্সের  অগ্রগতি তুলে ধরে।
এই প্রসঙ্গে সংস্থার সিইও ও ডরেক্টর ড. অলোক মিশ্র জানান,  গত বছর (আর্থিক বর্ষ ২০২৪-২৫ ) ছিল বেশ কঠিন, কারণ গরমের প্রকোপ, বাইরের উসকানি, অতিরিক্ত ঋণের আশঙ্কা, কর্ণাটকের ঘটনা ইত্যাদি কারণে ঋণের মান খারাপ হয়েছে। এর ফলে খাতে অর্থায়ন হ্রাস পেয়েছে, ঋণ ব্যয় বেড়েছে এবং জিএলপি অর্থাৎ গ্রস লোন পোর্টফোলিও  কমেছে।  তবে, এমএফআইএন-এর  জারি করা ‘গার্ডরেল’ অনুসরণ করার ফলে ঋণের গুণমান উন্নত হয়েছে এবং ৩১ মার্চ ২০২৫ অনুযায়ী PAR 1-90 হয়েছে ৪.২২ শতাংশ।
প্রতিবেদনের মূল দিকনির্দেশনা:
৩১ মার্চ ২০২৫ অনুযায়ী, মাইক্রোফাইন্যান্স কার্যক্রম ৩৬টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং ৭১৮টি জেলায় বিস্তৃত, প্রায় ৭.৮ কোটি অনন্য গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে। বছরওয়ারি ভিত্তিতে আর্থিক বর্ষ ২০২৪-২৫ -এ মোট পোর্টফোলিও ১৩.৫% হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৭৫,০৩০ কোটি টাকায়। এনবিএফসি ছাড়া অন্য সব প্রতিষ্ঠানগুলির পোর্টফোলিও কমেছে, এনবিএফসি-র পোর্টফোলিও ৪.১% বেড়েছে।
আর্থিক বর্ষ ২০২৪-২৫ এ ঋণ বিতরণ ১৬.৯% হ্রাস পেয়েছে এবং নতুন ঋণের সংখ্যা ২৫.৪% কমেছে।
ভৌগলিক ভিত্তিতে, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারত মিলে মোট মাইক্রোফাইন্যান্স পোর্টফোলিওর ৬২.৭% অংশ।
PAR 31-180 অনুসারে ঋণ মান ৬.৩% থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২.২% (আর্থিক বর্ষ ২০২৪-২৫ শেষে)।
বর্তমান পরিস্থিতি ইতিবাচক, কারণ ঋণের মানের উন্নতি হচ্ছে, আরবিআই ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় তরলতা জুগিয়েছে এবং এনবিএফসি-এমএফআই-দের জন্য কিউএ নীতিতে শিথিলতা এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − 14 =