রাজ্যে ‘জাহা ইন্ডিয়া’ নামে এক নতুন সংগঠন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এদের কার্যকলাপ মৌলবাদী সংগঠনের সঙ্গে মিল খায় এমনই জানা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্টে। এই রিপোর্টে ‘জাহা ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের একটি বৈঠকও হয়েছে বলে জানা গেছে। সঙ্গে এও জানা গেছে, জেএমবি-র নেতা বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে ভারতে প্রবেশ করে ঝাড়খণ্ডের পাকুর থানার অন্তর্গত একটি এলাকায় এই বৈঠক করেছে। দু’দিন ধরে চলে সেই বৈঠক। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, ওই জঙ্গি নেতা ‘জাহা ইন্ডিয়া’ সংগঠনের ছ’জনকে ট্রেনিং দিয়েছে। সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিল মুর্শিদাবাদের পাঁচ ও উত্তর ২৪ পরগনার এক নেতা। এদের আবার একজন মিডিল ম্যানও রয়েছে। বৈঠক শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফের জেএমবি নেতা রুট বদলে আবার বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছে। আপাতত মুর্শিদাবাদে সক্রিয় গোয়েন্দারা। সেই কারণে, এখন বাংলাদেশি জঙ্গিদের টার্গেটে ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা।
এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন এনসিজি কর্তা দীপাঞ্জন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘এই খবর শুধু গোয়েন্দাদের কাছেই ছিল। ‘জাহা ইন্ডিয়ার’ নাম কেউ জানত না। ভারত-বাংলাদেশ-মায়ানমারকে টার্গেট করে আলকায়দা। ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে যিনি নির্বাচিত হয়ে লোকসভায় গিয়েছেন, সেই নেত্রীর স্বামীকে দেশবিরোধী কাজের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। আসলে এইগুলো হল জমি দখলের প্রক্রিয়া। এইভাবে বিনা রক্তপাতে ভারত দখল বা জমি দখল করে ওরা। তারপর অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে পুরো ভৌগলিক অবস্থা পরিবর্তন করে। তারপর সেখান থেকে আবার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। এবং দেশের লোকসভা বা বিধানসভায় যায়।’