স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নিলে এফআইআর করার হুঁশিয়ারি মন্ত্রী অরূপের

রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে বহুদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে রাজ্য সরকার আর বেসরাকরি হাসাপতাল এবং নার্সিংহোমের সঙ্গে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এই সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে। তাতেও কাজের কাজ হয়নি বলেই অভিযোগ উঠছে।  বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে গিয়ে এখনও ফিরতে হচ্ছে বহু রোগীকে। এবার এমন অভিযোগ এলে সেই হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে এফআইআর করার কথা বললেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এর আগে একই কথা বলেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। স্পষ্ট জানিয়েছিলেন,কারও সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটলে তিনি হাসপাতালের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে পারেন। এবার অরূপ বিশ্বাস জানালেন, প্রয়োজনে তিনি নিজেই এফআইআর করবেন। বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালের নাম নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিতেও দেখা যায় রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে।

প্রসঙ্গত, বুধবার নিউ গড়িয়ার একটি হাসপাতালে এক নতুন পরিষেবার উদ্বোধন করতে উপস্থিত হন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চেই মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের পরিষেবা দিচ্ছে না। বলে দেওয়া হচ্ছে, কোটা শেষ।’ রাজ্য সরকারের কাছে এই সংক্রান্ত অভিযোগ আসছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এরই রেশ ধরে মন্ত্রী জানান, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে সরাসরি এফআইআর করব। আমি নিজে মন্ত্রী হিসেবে এফআইআর করব। এই অভিযোগ আর কোনওভাবেই মেনে নেব না।’

এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এও জানান, বেসরকারি হাসপাতালগুলি বাম আমলে ১ টাকায় জমি পেয়েছিল। তারপরও সব মানুষ কেন নূন্যতম মূল্যে পর্যাপ্ত পরিষেবা পাবে না, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন অরূপ বিশ্বাস। মন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘কেন জমি দেওয়া হয়েছে? এই বেসরকারি হাসপাতালগুলি সব লাভ করবে। অথচ গরিব মানুষকে পরিষেবা দেবে না? আমি চাই এই এক টাকার জমি পাওয়া হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত হোক। কীভাবে জমি পেয়েছে, কোন চুক্তিতে পেয়েছে এগুলি নিয়ে তদন্ত করা উচিত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + 10 =