সন্দেশখালি থেকে চোপড়া, শাহজাহান শেখ থেকে জেসিবিকে নিয়ে সাংঘাতিক অস্বস্তিতে শাসক দল তৃণমূল। সম্প্রতি চোপড়ায় উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার লক্ষ্মীপুর এলাকায় সালিশি সভা বসিয়ে যুবক-যুবতীকে বেধড়ক মারধর। মূল অভিযুক্ত তৃণমূলেরই স্থানীয় নেতা তাজমুল ইসলাম, যিনি পরিচিত জেসিবি নামেই। সেই মারধরের ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে। এমনকি, মঙ্গলবার সংসদে বিষয়টি উত্থাপন করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। জেসিবির বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কার্যত লক্ষ্মীপুরে শেষ কথা বলেন তিনিই। তবে এবার এই চোপড়ার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীকে। যিনি ছারপোকার সঙ্গে জেসিবি-কে তুলনা করলেন।
জেসিবি চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে। মারধরের ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর কার্যত জেসিবির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন হামিদুল। নির্যাতিতা যুবতী অসামাজিক কাজে জড়িত বলে মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর এই মন্তব্যে জন্য বিধায়ককে শোকজ করে তৃণমূল। এই পরিস্থিতি চোপড়ার ঘটনা নিয়ে সরব হলেন বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিৎ।
এদিন চিরঞ্জিৎ বলেন, ‘এইসব লোকের সংখ্যা কম হয়। এটাই একটা সুবিধা। যদি বেশি হত, সর্বনাশ হয়ে যেত। তবে গুরুত্বপূর্ণ হল, একটা-দুটোও যদি বেরোয় ছারপোকার মতো, এখনই মারতে হবে। না হলে বেড়ে যাবে।’ জেসিবির মতো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তা স্পষ্ট করে দিলেন বারাসতের বিধায়ক।
তবে চোপড়ার ওই ঘটনায় জেসিবিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। শুধু এই ঘটনা নয়, এর আগেও একাধিক ঘটনায় অভিযুক্ত জেসিবি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এক সিপিএম নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনি। সেই সময় তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। কিন্তু, দিন পনেরোর মধ্যে ছাড়া পেয়ে যান। এবার এমন কিছু হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।