বিধানসভার লবি দিয়ে হেঁটে ঘরে ঢোকার সময আচমকাই মুখ থুবড়ে পড়ে যান বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। পড়ে গিয়েই সঙ্গে সঙ্গে অচৈতন্যও হয়ে পড়েন তিনি। পড়ে যাওয়ার আওয়াজ শুনতে পেয়েই ছুটে অন্যান্য বিধায়করা। ছুটে আসেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ। তিনি বিধায়কের ঘাড়ে, চোখে মুখে জল দিতে থাকেন। নিজেদের ঘর থেকে খবর পেয়েই দৌড়ে আসেন কুলটির বিজেপির বিধায়ক তথা চিকিত্সক অজয় পোদ্দার। তিনি পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন। চেষ্টা করেন তৃণমূলের বিধায়ক রহিমা মণ্ডলও।বিধানসভায় যাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদেরকে খবর দেওয়া হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায়, বিধায়কের ব্লাড প্রেসার অনেকটাই বেশি। সুগারও পরীক্ষা করা হয়। চোখে মুখে জল দিয়েও, হাত–পা চাপ দিয়ে জ্ঞান ফেরেনি।
এদিকে সতীর্থ বিধায়ক চিকিত্সকেরা জানান, ব্লাড প্রেশার অনেকটাই বেশি। সেই কারণে দ্রুত বিধায়ককে এসএসকেএম বা পিজিতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তচাপের কারণেই জ্ঞান হারিয়েছেন বিধায়ক। কেউ কেউ জানান, পড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে বিধায়ক হাত বাড়িয়ে কিছুটা একটা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সেটা পারার আগেই মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যান।
কখনও ফেসবুকে ‘বিদ্রোহী’ পোস্ট। কখনও নিজের সরকারের বিরুদ্ধে ‘বিপ্লবাত্মক’ বিবৃতি। কখনও দলের কোনও নেত্রীকে ‘অসৎ’ বলে সর্বসমক্ষে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা। একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন সত্তরোর্ধ্ব এই বিধায়ক।