ফোনে কোনও ওটিপি আসেনি। কিন্তু অ্য়াকাউন্ট থেকে টাকা ডেবিট হয়ে যাচ্ছে। এমন ঘটনায় হতবাক বাঁশদ্রোণির মডেল অভিনেত্রী মৌসুমি সান্যাল দাশগুপ্ত। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক বেসরকারি ব্যাঙ্কে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে ১০ হাজার টাকা। সম্প্রতি আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোপাট করে দেওয়ার একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। যাঁরা প্রতারণার শিকার হচ্ছে, তাঁদের বেশিরভাগই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের গ্রাহক। তবে মৌসুমির অ্যাকাউন্ট ছিল একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে।
মৌসুমি সান্যালের সঙ্গে এই ঘটনাটি ঘটে গত ৬ সেপ্টেম্বর। হঠাৎ তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। টাকা তোলার মেসেজ আসে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের থেকে। মডেল অভিনেত্রীর প্রথমে কিছু বুঝতে পারেননি। প্রথমেই তিনি দেখেন, তাঁর এটিএম কার্ড সঠিক জায়গায় আছে কি না। দেখেন, এটিএম কার্ড জায়গা মতোই রাখা আছে ঘরে। ফোনে কোনও ওটিপিও আসেনি। কিন্তু তারপরও কীভাবে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গেল তা এখনও বুঝে উঠতে পারেনি ওই মডেল অভিনেত্রী। একইসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘আমি এখনও টাকা ফেরত পাইনি। লড়াই চলছে।’
বাঁশদ্রোণির ওই মডেল অভিনেত্রী জানাচ্ছেন, ঘটনার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই তাঁর কাছে ইমেল আসছিল। ‘আধার অথেনটিকেশন সাকসেসফুলি’ এই ধরনের লেখা দিয়ে মেল আসছিল একাধিক ব্যাঙ্কের নাম করে। যেখানে তাঁর অ্যাকাউন্টই নেই, এমন ব্যাঙ্কের নাম করেও মেল আসছিল। তাই বিষয়টি প্রথমে গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি তিনি। প্রায় ২০-২৫টি ইমেল এসেছিল তাঁর কাছে, দাবি মডেলের। এরই মধ্যে হঠাৎ করে ৬ তারিখ তাঁর সঙ্গে এই অঘটন ঘটে যায়।
সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের কল সেন্টারে ফোন করেন। সেখান থেকে তাঁকে বলা হয়, সবার আগে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিতে এবং থানায় গিয়ে ডায়েরি করে নিকটবর্তী ব্যাঙ্ক শাখায় যোগাযোগ করতে। সেই মতো তিনি বাঁশদ্রোণি থানায় গেলে পুলিশকর্মীরা তাঁর কাছে জানতে চান, সম্প্রতি তিনি নিজের আধার নম্বর কোথাও দিয়েছিলেন কি না। উত্তরে মৌসুমি জানান, পেশার তাগিদে তাঁকে অনেক জায়গাতেই ঘুরতে হয়, সেখানে আধার কার্ড ব্যবহার করতে হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে এক ফ্ল্যাট কেনার সময় ডালহৌসির রেজিস্ট্রি অফিসেও বায়োমেট্রিক দিয়েছিলেন। তবে সেখান থেকে কীভাবে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হতে পারে তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।