মহুয়া যে কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন সেই কেন্দ্রে গিয়ে মহুয়াকে নিয়ে শনিবার একটা শব্দও খরচ করতেও দেখা গেল না নরেন্দ্র মোদিকে। বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়ার সংসদীয় কেন্দ্র ছিল কৃষ্ণনগর। শনিবার সেই কেন্দ্রেই ছিল বিজেপির জনসভা। এখানে প্রধান বক্তাই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন মঞ্চ থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে সন্দেশখালি, নানা দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুকে হাতিয়ার করতে দেখা যায় নমোকে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষের দিকে মহুয়া ইস্যুতে উত্তাল হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ তুলেছিলেন টাকার বিনিময়ে সংসদে বিশেষ কিছু প্রশ্ন করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, সাংসদ হিসেবে মহুয়ার যে লগ ইন আই ডি আছে, সেটাও হিরানন্দানিকে দিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই এথিক্স কমিটির সুপারিশে বহিষ্কার করা হয় মহুয়াকে।
মহুয়াকে বহিষ্কার করার পর বিক্ষোভ দেখানো হয় কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির তরফ থেকে। এথিক্স কমিটি তৃণমূল নেত্রীকে হেনস্থা করেছে, এমন অভিযোগও সামনে আসে। তবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মহুয়া এবার আরও বেশি ভোটে জিতে ফিরবেন নিজের কেন্দ্রে। অর্থাৎ, মমতার কথায় মোটামুটিভাবে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে মহুয়া ফের টিকিট পাচ্ছেন। আর সেই কারণেই কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে গিয়ে লোকসভা ভোটের আগে মহুয়া-বিতর্কে বিজেপি শান দেবে, এমনটাই অনুমান করেছিল রাজনৈতিক মহল। তবে এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে ৪২ আসনের টার্গেট বেঁধে দিলেও মহুয়া সম্পর্কে কোনও কথা বলেননি মোদি। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, আসলে মহুয়ার নাম না নিয়ে মোদি বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে মহুয়া কোনও ফ্যাক্টরই নয়। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মহুয়ার বিরুদ্ধে সুর চড়ান এদিন। জনসভার মঞ্চ থেকে বলেন, সামান্য টাকার লোভে, একটা লিপস্টিকের লোভে লগ ইন আইডি দিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁকেই সাংসদ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।