মোদি- রাহুলের সম্পত্তির হিসেব এক নজরে

লোকসভা নির্বাচনে নমো বনাম রাগার লড়াই দেখতে মুখিয়ে গোটা দেশ। তবে রাহুল গান্ধি আদৌ প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন কি না তা নিয়ে এখনও কোনও ইঙ্গিত দেয়নি ইন্ডিয়া জোট। যদিও অধিকাংশ কংগ্রেস নেতা-কর্মীই চাইছেন রাহুলই নেতৃত্ব দিক এই জোটকে। এদিকে স্যাফ্রন ব্রিগেডের দৃঢ় বিশ্বাস ছন্নছাড়া বিরোধী জোট মোদি ঝড়ে উড়ে যাবে। তবে সবাই এও জানতে চায়, যুযুধান দু’পক্ষের ব্যাঙ্ক ব্যালান্সের ক্ষেত্রে কে এগিয়ে।

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সে সময়কার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল আড়াই কোটি টাকা। এদিকে, রাহুল গান্ধি এ বিষয়ে মোদির থেকে একটু এগিয়ে। পাঁচ বছর আগে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

আপাতত তথ্য যা বলছে সেই অনুসারে গুজরাতের গান্ধিনগরে একটি বাড়ি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। যার সে সময়কার বাজারদর ছিল ১ কোটি ১ লাখ টাকা। এ ছাড়া রয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট। পাঁচ বছর আগে ভোটের সময় নরেন্দ্র মোদির হাতে নগদ ছিল ৩৮ হাজার ৭৫০ টাকা। ২০১৯ সালের হলফনামা অনুযায়ী, মোদির অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ১ কোটি ১ লাখ টাকা। কর ছাড়যুক্ত বন্ডে তাঁর ইনভেস্টমেন্ট ছিল ২০ হাজার টাকার, এনএসসি সার্টিফিকেট ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার টাকার এবং ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার টাকার এলআইসি। মোদির সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল ৪ হাজার ১৪৩ টাকা। চারটি সোনার আংটি ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা মূল্যের। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারি বেতন, সুযোগ সুবিধা, ব্যাঙ্কের সুদ থেকে তাঁর রোজগার হয় বলে হলফনামায় জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

এদিকে ২০১৯ সালে আমেতি এবং ওয়েনাড থেকে নির্বাচনে লড়েন রাহুল গান্ধি। নির্বাচন কমিশনে জমা করা তাঁর হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর পাঁচ বছর আগে অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৮০ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯৯ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ৭ কোটি ৯৩ লাখ ৩ হাজার ৯৭৭ টাকা। ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে রাহুলের রোজগারের পরিমাণ ১ কোটি ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭০ টাকা। মা সোনিয়া গান্ধির থেকে পাঁচ লাখ টাকার ঋণ নেন রাহুল। এ ছাড়াও তাঁর সম্পত্তি রয়েছে ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে তাঁর জমা রাশির পরিমাণ ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৩ টাকা। ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ রাহুলের হাতে নগদ টাকা ছিল ৪০ হাজার। একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৭২ লাখ ১ হাজার ৯০৪ টাকা ঋণ নেওয়া রয়েছে রাহুলের। বন্ড এবং শেয়ারে ইনভেস্টমেন্ট রয়েছে ৫ কোটি ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ৬৮২ টাকার। পিপিএফ এবং পোস্টার সেভিংস বাবদ রাহুলের জমা রাশির পরিমাণ ৩৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭ টাকা। ২ লাখ ৯১ হাজার ৩৬৭ টাকার গয়না রয়েছে কংগ্রেস নেতার। তার মধ্যে রয়েছে ৩৩৩ গ্রাম সোনা। নিউ দিল্লির মেহরাউলিতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধির সঙ্গে যৌথ মালিকানায় একটি ২.৩৪ একর জমি রয়েছে রাহুলের। এটি বংশপরম্পরায় পাওয়া একটি সম্পত্তি। গুরুগ্রামের সিলোখেরাতে ৫ হাজার ৮৩৮ স্কোয়্যার ফিটের একটি বাড়ি রয়েছে তাঁর নামে। পাঁচ বছর আগে যার মূল্য ছিল ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের হলফনামা অনুযায়ী, রাহুল গান্ধির মোট সম্পত্তির পরিমাণ সে সময় ছিল ১০ কোটি টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + sixteen =