আটে আট হলেও নবম ম্যাচে এসে আর ৯-এ নয় করা হল না মোহনবাগানের। ডার্বিতে ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ১২ অগাস্ট খেলার আগে পর্যন্ত মনে হচ্ছিল ফুটবল ভাগ্যদেবী যেন বিরূপ ইস্টবেঙ্গেলর ওপর।তবে শনিবারের অবশেষে মুখ তুলে চাইলেন তিনি। জয় এল ১-০ গোলে। মরশুমের প্রথম ডার্বি ম্যাচে মোহনবাগানকে ১-০ গোলে পরাস্ত করল ইস্টবেঙ্গল। ৬১ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন তরুণ নন্দকুমার। এককথায় দৃষ্টিনন্দন গোল। এদিকে ইস্টবেঙ্গেলের দায়িত্ব নিয়ে কার্লোস কুয়াদ্রাত জানিয়েছিলেন, কেরিয়ারের অন্যতম বড়় চ্যালেঞ্জ নিলেন তিনি। তাঁর এই কথা যে কথার কথা নয়, তাও এদিন প্রমাণ হল খেলার শেষে।জেতালেন দলকে।
প্রথমার্ধে খেলায় দুই দলের প্রাধান্যই ছিল সমান সমান। প্রথমার্ধের শেষের পর দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু থেকেই দুই দলকেই দেখা গেছে মরিয়া হয়ে গোলের জন্য ঝাঁপাতে। ৪৮ মিনিটের মাথায় আক্রমণ শুরু করে মোহনবাগান। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল প্রতি আক্রমণ শুরুকরে। সিভেইরো ও বোরহা মিলে একটি আক্রমণ শানায়। কিন্তু আটকে যায়। এরপর ৫১ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন লাল হলুদের শৌভিক চক্রবর্তী। ৫৪ মিনিটে প্রতি আক্রমণে গোলের সুযোগ তৈরি করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। তিনি গোলে সুযোগ তৈরি করলেও গোলে বল ঢোকাতে ব্যর্থ হন। ৫৬ মিনিটে আনোয়ার আলি মিডফিল্ড থেকে গোলের চেষ্টা করেন। শটও নেন। কিন্তু অনেক দূর দিয়ে বেরিয়ে যায় বল। এরপর ম্যাচের ৫৬ মিনিটে জোড়া পরিবর্তন করেন মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো। আর্মান্দো সাদিকু ও হুগো বোমাসের পরিবর্তে মাঠে অজি বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স ও গত মরসুমের নায়ক দিমিত্রি পেত্রাতোস। ৫৯ মিনিটে মনবীর ও পেত্রাতোস জুটি বেঁধে গোলের চেষ্টা করে কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সে আটকে যায়। ৬০ মিনিটে অবশেষে ডেডলক ভাঙে। বাঁধিয়ে রাখার মত গোল করেন ইস্টবেঙ্গলের নন্দকুমার। হঠাৎ গতি বাড়িয়ে একক দক্ষতায় তিনি মিডফিল্ড থেকে বল নিয়ে যান। ডানদিক থেকে বল নিয়ে তিনি উঠে যান মোহনবাগানের বক্সে। সামনে ছিলেন অনিরুদ্ধ থাপা। বলটা ডান পা থেকে বাঁ পায়ে নেন। বক্সের ডান দিকে অনিরুদ্ধর সামনে থেকেই কোনাকুনি শট। মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথের কাছে সুযোগ ছিল না। এক গোলে এগিয়ে থেকে বেশ কিছুটা আত্মবিশ্বাস পায় ইস্টবেঙ্গল। এর মধ্যে কিছুটা সময় নষ্টেরও চেষ্টা দেখা যায়। এগিয়ে থাকা দল এমনটা করবে এটাই প্রত্যাশিত। তার জন্য ৬ মিনিট অ্যাডেড টাইম দেওয়া হয়। তাতেও আখেরে লাভের লাভ কিছুই ওঠাতে পারেনি মোহনবাগান।