অবেশেষে বৃষ্টি নামল কলকাতায়। তবে এত ভারী বৃষ্টি বোধ হয় আশা করেনি কলকাতাবাসী। বৃষ্টির সঙ্গে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হওয়া বইছে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। এদিক সূত্র বলছে, সব জায়গাতে যে ভারী বৃষ্টি হয়েছে তাও কিন্তু নয়। যেমন গার্ডেনরিচ অঞ্চলে সাংঘাতিক বৃষ্টি হলেও খিদিরপুরেই বৃষ্টির পরিমাণ সেই তুলনায় কম। আর দমদমে তো বৃষ্টির দেখাই নেই। এর আগে দিন কয়েক ধরেই দুই বাংলা ও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। কিন্তু, সেই বৃষ্টিতে জোর ছিল না খুব একটা। এবার বোধহয় দেখা যেতে চলেছে বর্ষার আসল রূপ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর ছিল, বর্তমানে সক্রিয় পর্যায়ে না থাকায় আগামী কয়েক দিনে কলকাতা বা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সেভাবে তীব্র বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস নেই। এদিকে রবিবার দুপুরে আচমকাই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায় কলকাতার আবহাওয়া। এই দুর্যোগ আরও চার পাঁচ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। একইসঙ্গে উত্তরের দিকের পাঁচ জেলাতেই ভারী বৃষ্টি চলবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাসের পূর্বাভাস। পাশাপাসি এও জানানো হয় যে, রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা থাকার জন্য দক্ষিণবঙ্গে অস্বস্তিকার গরম অনুভূত হবে।
সঙ্গে আলিপুর দফতরের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, ৩১ মে থেকে ইসলামপুরে আটকে ছিল দক্ষিণ- পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। ২০ দিন পর মৌসুমী বায়ু এবার গতি পেল। অবশেষে ইসলামপুর থেকে সরল মৌসুমী বায়ু। ৩১ মে থেকে একই জায়গায় থমকে। এর ২০ দিন পর স্থান বদল করে মৌসুমী বায়ু। ২২ দিনে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা। দক্ষিণবঙ্গের হলদিয়া পর্যন্ত ঢুকে পড়েছে বর্ষা। আর এই মৌসুমী অক্ষরেখা নাভসারি জলগাঁও, মণ্ডলা, পেন্ড্রারোড, ঝার্সুগুদা, বালাসোর, হলদিয়া, পাঁকুড়, সাহেবগঞ্জ ও রক্সৌলের উপর দিয়ে বিস্তৃত। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ এলাকায় ঢুকে পড়েছে মৌসুমী বায়ু। আগামী ৩-৪ দিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বাকি এলাকা মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও বিহারের বাকি অংশে ঢুকবে মৌসুমী বায়ু।
এদিকে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে বিহার, অসম ও পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং ওড়িশা উত্তরপ্রদেশ রাজস্থানের উপরে। পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা রয়েছে রাজস্থান থেকে মণিপুর পর্যন্ত। যা মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, উত্তরবঙ্গ বাংলাদেশ, মেঘালয়, অসমের উপর দিয়ে বিস্তৃত।