২১ জুলাই পর্যন্ত মুখে কুলুপ, তবে নিজের অবস্থান বদলাবেন না হুমায়ুন

বঙ্গ রাজনীতিতে শাসক দলের বিধায়ক হয়েও এক প্রতিবাদী চরিত্র ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। কখনও নিজের সঙ্গে হওয়া বঞ্চনা  তো কখনও দলের লাইন নিয়ে প্রকাশ্যেই সমালোচনা করতে দেখা গেছে তাঁকে। ফলে প্রায়ই নানা ইস্যুতে বিতর্কে জড়িয়েও পড়েছেন।  আর তার জন্য তিনি ছাড় পেয়েছেন তাও নয়, বারবার দলের তরফ থেকে এসেছে শোকজ নোটিসও। কিন্ত তাতেও ভবী ভোলার নয়। বারবার সতর্ক করা হলেও নিজেকে একটুও বদল করেননি হুমায়ুন। কয়েকদিন আগেই তৃণমূল হাই কম্যান্ডের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছিল ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’। এমনকী এও শোনা গিয়েছিল কথা না শুনলে হুমায়ুনের বিধায়ক পদ সংক্রান্ত বিষয়ে পদক্ষেপ করা হতে পারে। আর এই প্রসঙ্গেই ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর তাঁর অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট জানালেন,দল না তাড়ালে আপাতত তিনি কোথাও যাচ্ছেন না। তৃণমূলটাই করবেন।  আর দল যদি বাধ্য করে তখন তো অনেক সময় আছে। তবে গত ১৪ জুন দলের তরফে লাস্ট ওয়ার্নিং মেসেজটা তাঁকে পাঠানো হয়েছে সে ব্য়াপারে তিনি স্পষ্ট জানান,অন্যায়ের বিরোধিতা তিনি করেছেন। প্রয়োজনে আরও করবেন। তবে একইসঙ্গে  দলের অন্যান্যদের নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর জিজ্ঞাস্য, ‘অনেকেই শৃঙ্খলাভঙ্গ করে, কেউ কী শোকজের চিঠি পেয়েছেন?’এরপরই খানিকটা অভিমান মেশানো আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘এবার আমাকে তো চিন্তাভাবনা করেই কথা বলতে হবে।’ এর রেশ ধরে এও বলেন, ‘আপনারা যতই প্রশ্ন করুন একুশে জুলাই পর্যন্ত আমি আমাদের সুপ্রিমোর প্রতি, আমাদের সেনাপতির প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে চলব।’তবে এটাও জানাতে ভোলেনি, দলের তরফ থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা তিনি মাথা পেতে নেবেন। এরই রেশ ধরে একইসঙ্গে তিনি এও জানান, শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সম্মানার্থে একুশে জুলাই পর্যন্ত কোনও মন্তব্য তিনি করবেন না।
হুমায়ুনের এই বক্তব্য় শোনার পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত, চাপে পড়েছেন এবার হুমায়ুন। তাই এবার  অবস্থা বুঝে মেপে কথা বলতে চাইছেন। আর সেই কারণেই একুশে জুলাই পর্যন্ত তাঁরা এই সময় নেওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 2 =