বাজেটে বিপুল কর্মসংস্থানের দরজা খুলতে চলেছে এমএসএমই

আগামীদিনে বিপুল কর্মসংস্থানের দরজা খুলতে এবারের বাজেটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গোষ্ঠীর (এমএসএমই) জন্য বড় ঘোষণা করতে পারে সরকার, এমনটাই ধারনা বিশেষজ্ঞদের একাংশের। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, বর্তমানে ভারতের জিডিপির ২৭ শতাংশই আসে এমএসএমই থেকে। রপ্তানিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গোষ্ঠীর ভূমিকা ৪৫ শতাংশ। এহেন পরিস্থিতিতে এবারের বাজেটে ছোট শিল্প ইউনিটগুলির জন্য সরকার মোটা অংকের অর্থ বরাদ্দ করুক, চাইছেন এমএসএমই-র কর্তা-ব্যক্তিরা। এই সেক্টরকে প্রোডাক্ট লিঙ্কড ইনসেনটিভের (পিএলআই) আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন অল ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ভিজি কলন্ত্রি। তাঁর কথায়, ‘এমএসএমই সেক্টর প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে। যদি বাজেটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য সহজ শর্তে অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তা হলে আগামীদিনে এটি কলেবরে অনেকটা বড় হয়ে উঠবে। যার প্রভাব দেখা যাবে ভারতীয় অর্থনীতিতে। তবে এই টাকা যথাযথ পরিমাণে এবং ঠিক সময়ে পেতে হবে।’

বাজেটে এমএসএমই সেক্টরকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন এফআইএসএমই-র সভাপতি এস কে জৈনও। ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের যে রেটিং পদ্ধতি রয়েছে, তা অবিলম্বে বাতিল করা উচিত। কারণ থার্ড পার্টির উপর নির্ভর করে এই রেটিং সিস্টেম চালানো হচ্ছে। এতে লোনের টাকা হাতে পেতে বেশ সমস্যা হয়।’ বাজেটের মুখে সংবাদমাধ্যমকে বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, পিএলআই স্কিমে বিভিন্ন পণ্যের উপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে সরকার। এবার সেখান থেকে সরে এসে আরও বেশি করে যাতে কর্মসংস্থান হয়, এমন সেক্টরে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, ‘এমএসএমই-কে আরও বড় হতে হলে ১৩৪.৪০ লাখ কোটি টাকা প্রয়োজন। এর মধ্য়ে ঋণ বাবদ ১০৬.১১ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ করা উচিত। এর মধ্যে মাত্র ৫৬.২৪ লাখ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের থেকে পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।’ যা প্রস্তাবিত বরাদ্দর প্রায় ৫৬ শতাংশ বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

২০২৪ আর্থিক বছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৫৬.২৪ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল সরকার। ফলে এমএসএমই সেক্টরে ঋণের ব্যবধান কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮ লাখ কোটি টাকা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করেন নির্মলা সীতারমণ। তাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ৬ কোটি ৪০ লাখ ইউনিটের জন্য ২২,১৩৭.৯৫ কোটি বরাদ্দ করেছিলেন তিনি। তবে গত অর্থ বর্ষের বাজেটে ২০২০-তে চালু করা জরুরি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিমের বরাদ্দ কমিয়ে দেয় কেন্দ্র। ১৪ হাজার কোটি টাকা থেকে এই ক্যাটেগরিতে ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করে সরকার। এছাড়া পিম বিশ্বকর্মা স্কিমে ৪ হাজার ৮২৪ টাকা দিয়েছিল সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − six =