২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও মুম্বইয়ে ভোট পড়ল সবচেয়ে কম। পঞ্চম দফা নির্বাচনে সকাল থেকেই বুথে যেতে অনীহা নজরে আসে মুম্বইকরদের মধ্যে। এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ভোট পড়েছে ৪৮.৮৮ শতাংশ। যা আটটি লোকসভা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর মধ্যে মুম্বইয়ের কেন্দ্রগুলি ভোটদানের হার অত্যধিক কম। অর্থাৎ, বজায় রইল ট্র্যাডিশন।
সোমবার সকাল থেকে মুম্বইয়ের কেন্দ্রগুলিতে বলিউড সেলেব্রিটিদের ভিড় দেখা যায় বুথে বুথে। সকাল ৭টা নাগাদ ভোটদান করেন অক্ষয় কুমার। এরপর একে একে বুথমুখী হন পরেশ রাওয়াল, শাহিদ কপুর, সায়না মালহোত্রা, রাজকুমার রাও, জাহ্নবী কপুর, অনুপম খের, মনোজ বাজপেয়ী, অমিত খান, কিরণ রাওয়ের মতো তারকারা। সহপরিবারে ভোট দিতে পৌঁছন শাহরুখ খান। হাতভাঙা অবস্থাতেই বুথের লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায় ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে। ভোট দিয়েছেন অমিতাভ এবং জয়া বচ্চন। পাশাপাশি দীপিকাকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে দেখা যায় অভিনেতা রণবীর সিং-কেও।
কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর, ভারতের উঠতি ক্রিকেট তারকা সূর্যকুমার যাদব থেকে শুরু করে শিল্পপতি আম্বানি ও তাঁর পরিবারও এদিন মুম্বইয়ের কেন্দ্রে ভোটদান করেন। ছেলে অর্জুন তেন্ডুলকরকে নিয়ে ভোট দিতে পৌঁছন সচিন। এ বছর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সচিনকে প্রচারদূত করা হয়েছিল। গোটা দেশের ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে প্রচার করেন তিনি। তবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি স্ত্রী অঞ্চলি এবং মেয়ে সারা তেন্ডুলকর। মেয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশে নিতে দেশের বাইরে গিয়েছেন সচিনের স্ত্রী। ফলে তাঁরা ভোট দিতে পারেননি। মুম্বইয়ে ভোট দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও। ভোট দেন বিজেপি নেতা ব্রিজভূষণ শরণ সিংও।
বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাওয়া নির্বাচন কমিশনের ভোটের হার অনুযায়ী, পঞ্চম দফাতেও সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে বাংলায় (৭৩ শতাংশ)। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লাদাখ (৬৭.১৫ শতাংশ)। ঝাড়খণ্ডে ভোট পড়েছে ৬৩ শতাংশ, ওডিশায় ভোট পড়েছে ৬০.৭২ শতাংশ, উত্তর প্রদেশে ভোট পড়েছে ৫৭.৭৯ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে ভোট পড়েছে ৫৪.৪৯ শতাংশ, বিহারে ভোট পড়েছে ৫২.৫৫ শতাংশ।