শ্বাসরোধ করে খুন, আরজি কর কাণ্ডে এমনটাই জানানো হল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে

শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল। একইসঙ্গে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এও জানানো হয়েছে, চোখ থেকে বেরিয়ে এসেছে রক্ত। যেটা স্বাভাবিক নয় বলেই মনে করছেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা। এর পাশাপাশি গোপনাঙ্গে পাওয়া গিয়েছে ‘ফ্লুইড’। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ স্পষ্ট হচ্ছে এমনটাই জানাচ্ছেন হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাত ৩টে থেকে ভোর ৬টার মধ্যে। ছাত্রীর গলার ডান দিকের একটা হাড় ভাঙা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সাধারণত গলায় হাত দিয়ে টিপে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করা হলে এরকমভাবে হাড় ভাঙার ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে সেধরনের কিছু হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুক্রবার বিক্ষোভকারী ছাত্রদের দাবি মেনে জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফিও করা হয়। কিন্তু তারপরই সন্ধ্যায় পুলিশ আচমকাই হাসপাতালে থেকে দেহ নিয়ে যায়। তাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশকে বাধা দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। বিস্ফোরক দাবি করেন মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা। মেয়ের দেহ কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেটা স্পষ্ট নয়, চিকিৎসকের বাবার কাছেও। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। বলেন, ‘ডেডবডিটা নিয়ে চলে গেল, আমার মেয়েটাকে কোথায় নিয়ে চলে গেল, জানি না।’ প্রথম থেকেই মৃতার পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দিকে একাধিক বিষয়ে অভিযোগের আঙুল তুলছেন। অভিযোগ, প্রথমে বলা হয়েছিল তাঁদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। পরে তাঁরা যখন দেখতে আসেন, তাঁদেরকে মেয়ের দেহ দেখতে পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছিল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × four =