‘আমার বিনীত অনুরোধ, পরিষেবা সচল রেখে আন্দোলন চলুক’, অভিষেক

শুক্রবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ‘বিনা চিকিত্‍সা’য় মৃত্যু হয় এক যুবকের। জানা যায়, হুগলির কোন্নগরে বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন বছর ২৪-এর এক যুবক। দুই পায়ের উপর দিয়ে চলে যায় লরি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীরামপুরের হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। শুক্রবার সকালেই আহত যুবককে নিয়ে আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছন পরিবারের সদস্যরা।

পরিবারের অভিযোগ, একবার আউটডোর, একবার এমারজেন্সি বিল্ডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয় যুবককে। কিন্তু ভর্তি করা হয়নি হাসপাতালে। সকাল ৯ থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে ফেলা রাখা হয়েছিল। কোনও চিকিত্‍সা হয়নি। পরিবারের সদস্যরা এও জানান, আরজি কর হাসপাতালের তরফে তাঁদের জানানো হয়, পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই। রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কিন্তু ততক্ষণে প্রবল রক্তক্ষরণে ঝিমিয়ে পড়েছেন যুবক। শেষপর্যন্ত বেলা ১২টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি লেখেন, ‘কোন্নগরে বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক যুবক কার্যত কোনও চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেল। ৩ ঘণ্টা ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হয় তাঁর। আরজি করের মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরেই এই পরিণতি। আমি মানছি, জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিটি দাবি ন্যায্য। তাঁরা কোন-ও অন্যায় দাবি রাখেননি। কিন্তু আমার বিনীত অনুরোধ, পরিষেবা সচল রেখে আন্দোলন চলুক।’

অভিষেক আরও লেখেন, ‘প্রতিরোধযোগ্য অবহেলার কারণে মৃত্যু হতে দেওয়া অপরাধযোগ্য হত্যাকাণ্ডের সমতুল্য। যদি প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হয়, তাহলে তা গঠনমূলকভাবে করা উচিত। সহানুভূতি ও মানবতার সঙ্গে, যাতে নিষ্ক্রিয়তা বা অবহেলার কারণে আর কোনও জীবন ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে।’

এদিকে সূত্রের খবর, শনিবার কোন্নগর যাবে তৃণমূল প্রতিনিধি দল। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব  কথা বলেছেন নিহতের পরিবারের সঙ্গে। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর  বিষয়কে ঘিরে প্রচারে নামবে তৃণমূল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 13 =