লেকটাউনে কলেজ পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু

লেকটাউনে কলেজ পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু। শনিবার সকালে শ্রীভূমির ভাড়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বছর ২০-র সৃঞ্জয় দে’র ঝুলন্ত দেহ। মৃত সৃঞ্জয় নদিয়া জেলার হরিণঘাটায় সাতশিমুলিয়ার বাসিন্দা। তবে এই ঘটনায় মৃত ছাত্রের বাবা ও মায়ের তরফ থেকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে ছেলের এক রুমমেটের বিরুদ্ধেই। এমনকি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তও দাবি করেছেন তাঁরা। এদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, শুক্রবার রাতেই মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল সৃঞ্জয়ের। তিনি রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের বিএসসি’র ছাত্র। সৃঞ্জয় শনিবার কলেজে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার খাতা জমা দিয়ে বাড়িতে ফিরবেন বলে মা’কে কথা দিয়েছিলেন। আর শনিবার সকালে সেই ছেলেরই নিথর দেহ উদ্ধার হয় লেকটাউনের ফ্ল্যাট থেকে।

জানা যাচ্ছে, লেকটাউনের ওই ভাড়া করা ফ্ল্যাটে তিন বন্ধুর সঙ্গে থাকতেন সৃঞ্জয়।। লেকটাউনের ওই ফ্ল্যাটের মালিক সৃঞ্জয়ের বন্ধু মায়াঙ্ক রায়। মায়াঙ্ক ছাড়াও ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন অনুরাগ সিং নামে আর এক যুবক। ছেলের মৃত্যুর জন্য এই অনুরাগের ভূমিকাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন সৃঞ্জয়ের বাবা-মা।

অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরেই ছেলের উপরে মানসিক চাপ তৈরি করছিলেন অনুরাগ। সম্প্রতি দুই বন্ধুর মধ্যে ঝগড়া হয় আর তার জেরে লেকটাউনের ভাড়া বাড়ি ছেড়ে অনুরাগ চলে যান বলেও অভিযোগ। তবে, বন্ধুর মৃত্যুর সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন অনুরাগ। সৃঞ্জয়ের সঙ্গে যে বিরোধ ছিল এ কথা অবশ্য স্বীকার করেছেন তিনি। অনুরাগের দাবি, সৃঞ্জয়ের সঙ্গে তাঁর নানা বিষয়ে আলোচনা হত। তবে সৃঞ্জয় তাঁর এক বন্ধুর আত্মহত্যা নিয়ে মানসিকভাবে বিচলিত ছিলেন বলে দাবি করেছেন অনুরাগ। এদিকে সৃঞ্জয়ের পরিবারের অভিযোগ, বাড়ির কোনও সদস্যকে না জানিয়েই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে সৃঞ্জয়ের দেহ। আর তাতেই সন্দেহ আরও দানা বেঁধেছে পরিবারের। সৃঞ্জয়ের বাবা যদু দে বারবার একটাই কথা বলছেন, ‘আমি তদন্ত চাই। বিচার চাই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five − 5 =